শিখকে ‘খলিস্তানি’ বলা অন্যায়! বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যের বিরোধিতায় গর্জে উঠলেন দলের সাংসদ অহলুওয়ালিয়া

সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধা পেয়ে আইপিএস অফিসার যশপ্রীত সিংকে বিজেপির (BJP) ‘খলিস্তানি’ বলা নিয়ে রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর পরেই বিজেপি-বিরোধী সব রাজনৈতিক দলও এই নিয়ে প্রতিবাদ করেন। তবে, এবার এই কথার প্রতিবাদ করলেন বিজেপিরই একমাত্র শিখ সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরিন্দর সিং অহলুওয়ালিয়া (Surinderjeet Singh Ahluwalia)। বঙ্গ বিজেপিকে রীতিমতো তাচ্ছিল্য করলেন তিনি। অহলুওয়ালিয়ার কথায়, একজন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে খালিস্তানি বলা যায় না, এটা অন্যায়। যে বা যাঁরা বলেছেন, তাঁরা মহা মূর্খ বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ।

মঙ্গলবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ধামাখালিতে শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির প্রতিনিধিদলকে আটকায় পুলিশ। সেই সময় পুলিশ অফিসার যশপ্রীত সিংয়ের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি-র নেতা-কর্মীরা। আর তখনই সেই শিখ আইপিএস অফিসারকে ‘খালিস্তানি‘ জঙ্গি বলে অপমান করেন শুভেন্দু- অভিযোগ পুলিশের। কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিককে এভাবে ধর্মের নামে হেয় করার তীব্র নিন্দা করেন ADG, South Bengal সুপ্রতিম সরকার। পাগড়ি পরিহিত কাউকে খালিস্তানি বলে দেগে দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, “ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫(এ) ধারায় আইনত পদক্ষেপ করা হবে।“ বুধবার, এই প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুরিন্দর। তাঁর কথায়, “এক জন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে কখনও ‘খালিস্তানি’ বলা যায় না। এটা অন্যায়! যিনিই বলে থাকুন তিনি মূর্খ! তিনি ভারতের স্বাধীনতা থেকে এখন পর্যন্ত দেশের জন্য শিখ সম্প্রদায়ের অবদান জানেন না।“ তবে, একই সঙ্গে দলের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি সাংসদের মন্তব্য, “কোনও মূর্খের কথায় এত বিচলিত হওয়া উচিত নয়। শিখদের প্রতি বিজেপির সম্মান ছিল, আছে, থাকবে।“

আরও পড়ুন: ভোট হিংসায় দ্রুত পদক্ষেপে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স, নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

অহলুওয়ালিয়ার (Surinderjeet Singh Ahluwalia) মতে, “দলেরই কেউ এই মন্তব্য করলে, ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিত। যিনি বলেছেন, তাঁর অনুশোচনা হওয়া উচিত।“ তবে, দলের তরফে তাঁকে এখনও কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি বিজেপি সাংসদের। এই বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন অহলুওয়ালিয়া। তাঁর দাবি, কে বলেছেন সেটা খুঁজে বার করে তাঁর যথাযোগ্য শাস্তি হোক।

ঘটনার পর থেকেই তাঁর কাছে অনেক ফোন এবং মেসেজ এসেছে বলে জানিয়েছেন অহলুওয়ালিয়া। সবাই সত্যি জানার চেষ্টা করছেন। বিজেপির সাংসদের বার্তা, এই মন্তব্য যিনিই করে থাকুন তিনি মূর্খ। আর মূর্খের কথায় উত্তেজিত হওয়ার দরকার নেই। দেশের সম্প্রীতিরক্ষায় শিখরা চিরকাল সদার্থক ভূমিকা নিয়েছেন, এখনও সেটা বজায় রাখা উচিৎ।

Previous articleমোদিরাজ্যে তলানিতে শিক্ষাব্যবস্থা! বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়কের প্রশ্নের উত্তরে ‘বেফাঁস’ শিক্ষামন্ত্রী
Next articleটেস্ট ক্রিকেটে জোড়া নজিরের সামনে যশস্বী, ভাঙতে পারেন গাভাসকরের ৫৪ বছরের রেকর্ড!