অস্তিত্ব বাঁচাতে আঞ্চলিক ভাষায় সদস্য সংগ্রহ শুরু SFI-এর

এতদিন SFI-এর সদস্য সংগ্রহ বাংলা ও হিন্দি ফর্ম দিয়ে হত শুধুমাত্র। অর্থাৎ কলকাতা ও শহরতলির কলেজ থেকে সদস্য সংগ্রহই ছিল মূল লক্ষ্য বামেদের।

২০১১ সালে ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর বামেরা যে কতটা জনবিচ্ছিন্ন তার প্রমাণ ভোটবাক্সেই মিলেছে। ছাত্র ও যুব সম্প্রদায়কে সামনে রেখে নতুন করে জনসংযোগ শুরু করেছে বাম নেতৃত্ব। লোকসভা ভোটের আগেও সদস্য সংগ্রহের মধ্যে দিয়ে বাম ছাত্র সংগঠনের জনসংযোগ করার চেষ্টা আবার প্রমাণ করছে তারা কতটা জনবিচ্ছিন্ন। কলকাতা নির্ভর সদস্যের বাইরে বেরোনোর চিন্তাভাবনা দিয়ে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।

সাংসদ বিধায়কের অঙ্কে শূন্যে নেমে যাওয়ার পর নিজেদের অন্দরেই প্রবল সমালোচিত বাম নেতৃত্ব। নেতৃত্বের ভুলেই সাধারণ মানুষ এমনকি নিচুস্তরের কর্মীরা যে রাজ্যের সিপিআইএম-এর থেকে দূরে সরে গিয়েছে, তা বারবার উঠে এসেছে দলীয় বৈঠকে। তারপরই ছাত্র-যুবদের সামনে রেখে নতুনভাবে জনসংযোগের পথে নামার পরিকল্পনা করে বামেরা।

প্রবীন নেতৃত্বদের দ্বায়িত্ব বামেদের নবীন প্রজন্মই কাঁধে তুলে নিয়ে নতুন করে জনসংযোগের চেষ্টা শুরু করেছে লোকসভা ভোটের আগে। এতদিন SFI-এর সদস্য সংগ্রহ বাংলা ও হিন্দি ফর্ম দিয়ে হত শুধুমাত্র। অর্থাৎ কলকাতা ও শহরতলির কলেজ থেকে সদস্য সংগ্রহই ছিল মূল লক্ষ্য বামেদের। এবছর থেকে নেপালি, কুর্মালি, সাঁওতালি, উর্দু ভাষাতে সদস্য সংগ্রহের কাজ শুরু করল SFI।

লোকসভা ভোটের আগে বামেদের পায়ের তলার মাটি নেই সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে আদতে রাজ্যে বিজেপি বিরোধী ভোট দুভাগ করে বিজেপিকেই সুবিধা করে দেওয়ার খেলায় মেতেছে তারা। তবে ভবিষ্যতে বাম আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় সদস্য সংগ্রহের পন্থা কাজে লাগতে পারে বলে আশা বাম নেতৃত্বর। তার জন্য আঞ্চলিক কলেজস্তর থেকে যাতে সহজে সদস্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়, সেই লক্ষ্যে আঞ্চলিক ভাষায় সদস্য সংগ্রহে মাঠে SFI।

Previous article৬ মার্চ বঙ্গ সফরে নরেন্দ্র মোদি, আসছেন না শাহ
Next articleআধার চক্রান্ত রুখে দিয়েছি: একুশের মঞ্চ থেকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী