হাই কোর্টের রায় মেনে ‘সীতা’র নাম পরিবর্তনে রাজি রাজ্য

একেই বলে নেই কাজ তো খই ভাজ’! হাতে কোনও কাজ নেই। আর সেকারণেই ধর্মের নামে বিভাজনের পর এবার পশুদের নিয়ে নোংরা রাজনীতির খেলায় মেতে উঠল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। যার জল গড়াল একেবারে হাই কোর্ট (Calcutta High Court) পর্যন্ত। এবার সিংহীর (Lioness) নাম পরিবর্তন নিয়ে হাই কোর্টে সোজা মামলা দায়ের করা হয়। এরপরই হাই কোর্টকে পদক্ষেপের আর্জি জানায় রাজ্য। শেষমেশ সেই দাবি মেনেই আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রধান বিচারপতির এজলাসে জনস্বার্থ মামলা (PIL) হিসাবে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে খবর। তবে এদিন সিংহী সীতার নাম পরিবর্তনে রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে এদিন শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য মামলাকারীদের উদ্দেশে প্রশ্ন তোলেন, দেবী দুর্গার সঙ্গেই তাঁর বাহন সিংহের পুজো করা হয়। তাহলে তার যদি সীতা নাম রাখা হয়, তা হলে তাতে আপত্তি কোথায়? এমনকী, ‘সিংহীর নামে কী আসে যায়’ এদিন বিচারপতি বিষয়টিকে হালকা করার চেষ্টা করলেও নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকেই গাজোয়ারি করতে থাকেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা। পাল্টা সংগঠনের আইনজীবীর যুক্তি, সিংহীর নামকরণে জড়িয়ে গিয়েছে দেবী সীতার নাম। যিনি হিন্দুদের কাছে দেবী, তাঁর নামে সিংহীর নাম!

তবে এদিন হাই কোর্টে মামলা উঠলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আইনজীবী সুদীপ্ত মজুমদার বলেন, বৃহস্পতিবার রাজ্যের তরফে রিপোর্ট জমা করা হয়েছে। তাতে রাজ্য নামবদলে রাজি হয়েছে। তবে এদিন রিপোর্ট শোনার পর বিচারপতি এই মামলাটি জনস্বার্থ মামলা হিসেবে বিবেচনা করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রধান বিচারপতির এজলাসে পাঠাবেন বলে খবর। আর সেকারণেই আগামীকালের মধ্যে এই মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় সংশোধন করার নিদেশ দিয়েছে আদালত। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা থেকে বেঙ্গল সাফারি-তে পার্কে আনা হয় একটি সিংহ ও একটি সিংহীকে। মামলাকারীর অভিযোগ, সাফারি পার্কে আসার পর সিংহীর নাম রাখা হয়েছে সীতা, সিংহের নাম রাখা হয়েছে আকবর। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আইনজীবী শুভঙ্কর দত্ত জানান, এই নাম রাখার পিছনে কারণ জানাতে হবে এবং ওই নাম পরিবর্তন করতে হবে।