পঞ্চায়েত কর্মীদের রাজ্য সরকারি স্বাস্থ্য বিমাবপ্রকল্পের আওতায় আনার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই মতো রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের কর্মীদের রাজ্য সরকারি স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের (Health Insurance Scheme) আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পঞ্চায়েত কর্মীদের ওই প্রকল্পের জন্য অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে খবর। এর ফলে, প্রায় ৪০ হাজার পঞ্চায়েতের কর্মী, পেনশন প্রাপক এবং তাঁদের উপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্য মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।

গত ডিসেম্বরে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পঞ্চায়েত কর্মীদের রাজ্য সরকারি স্বাস্থ্যবিমার (Health Insurance Scheme) আওতায় আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১০ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। এবার নাম নথিভুক্ত করণের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। রাজ্য সরকারি স্বাস্থ্য বীমা বা ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিমের নির্দিষ্ট পোর্টালেই পঞ্চায়েত কর্মীরা তাদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও নাম, ঠিকানা, ছবি, আধার নম্বর এবং অন্যান্য পরিচয়পত্রের ফোটোকপি-সহ আবেদন করতে হবে। কর্মীদের স্ত্রী, বাবা, মা, মেয়ে এবং ২৪ বছর বয়স পর্যন্ত বয়সী ছেলে এই প্রকল্পের সুযোগ পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।


আপলোড করা তথ্য যাচাইয়ের ভিত্তিতে বিডিও অফিস থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মীদের অনুমোদনপত্র বা প্রয়োজনীয় শংসাপত্র দেওয়া হবে। আর জেলা পরিষদের আধিকারিকদের জন্য এই কাজ করবেন জেলা পরিষদের এগজিকিউটিভ অফিসার।

এই শংসাপত্র দেখলেই সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে মিলবে স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা।
ফলে তাঁরাও এবার থেকে প্রথমে দেড় লক্ষ টাকার চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। চিকিৎসা খরচ দেড় লক্ষ টাকার বেশি হলে, রাজ্য সরকার তা খতিয়ে দেখে পরিশোধের ব্যবস্থা করবে।

