বিরোধীদের দাবিকে বুড়ো আঙুল কেন্দ্রেরই, রাজ্যের মিড-ডে মিল ‘মডেল’ ঘোষণা

কেন্দ্রের বরাদ্দ হওয়া এই খাতের টাকা পুণরুদ্ধার করে তা পুণরায় ব্যবহার করেছে রাজ্য। রাজ্যের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেন কেন্দ্রের আধিকারিকরা।

রাজ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে বারবার কেন্দ্রের টাকা আটকে দেওয়া যে বিরোধীদলগুলির নিছক রাজনীতি তা আবার প্রমাণ হল মিড-ডে মিলের ক্ষেত্রে। বিরোধী মূলত বিজেপি নেতারা বারবার আন্দোলন করে এই প্রকল্পে কেন্দ্রের টাকা আটকে দিয়েছে। অথচ রাজ্যে মিড-ডে মিলে বরাদ্দ ব্যবহারের প্রশংসা করে রাজ্যকে ‘মডেল’ হিসাবে ঘোষণা করলেন কেন্দ্রের আধিকারিকরাই। এই স্বীকৃতিকে সত্যের জয় বলে দাবি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর।

২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বারবার বিজেপি নেতা বিশেষত শুভেন্দু অধিকারীকে দেখা গিয়েছে মিড-ডে মিল নিয়ে অভিযোগ তুলতে। ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের কাছে দরবার করে এই প্রকল্পে রাজ্যের বরাদ্দও আটকে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। অন্যদিকে রাজ্যের তরফে চিঠি, ধর্না, আন্দোলন এমনকি মুখ্যমন্ত্রীকেও কেন্দ্রের কাছে বারবার দরবার হয়েছে এই টাকার দাবিতে। কেন্দ্র থেকে একাধিক পরিদর্শক টিম এসেছে ‘অভিযোগ’-এর সত্যতা যাচাই করতে। আদতে আজ পর্যন্ত কোনও তদন্তেই কাউকে অভিযুক্ত বলে সামনে আনতে পারেনি কেন্দ্রের তদন্তকারীরা।

এরপরেও বরাদ্দ না ছাড়ায় ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর আরও একপ্রস্থ তদন্ত হয়। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রেরই আধিকারিকরা দাবি করলেন রাজ্য যেভাবে মিড-ডে মিলে বরাদ্দ টাকা খরচ করেছে তা দেশের মডেল হিসাবে তুলে ধরা উচিত। মূলত কেন্দ্রের বরাদ্দ হওয়া এই খাতের টাকা পুণরুদ্ধার করে তা পুণরায় ব্যবহার করেছে রাজ্য। রাজ্যের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেন কেন্দ্রের আধিকারিকরা। এমনকি এই পদ্ধতি অন্যান্য রাজ্যের জন্য মডেল হিসাবে তুলে ধরার কথা বলা হয়।

রাজ্যের মিড-ডে মিল প্রকল্পে স্বচ্ছতা পর্যবেক্ষণ করেই চলতি আর্থিক বর্ষে সমগ্র শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে রাজ্যের জন্য চার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র সরকার। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দাবি কেন্দ্রের এই স্বীকৃতি প্রমাণ করল কেন্দ্রীয় দলের অপপ্রচার ও বিরোধীদের কুৎসা কতটা মিথ্যা।

Previous articleহৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে, প্রয়াত শিবসেনার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী মনোহর যোশী 
Next articleশুভেন্দু-অধীরের আদালত অবমাননা মামলা নিয়ে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি