ভাষা সন্ত্রাস চলছে, কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে রাজ্য সরকারকে: তৃণমূলের নিশানায় বিজেপি

চোপড়ায় যে চারটি শিশু অকালে প্রাণ হারালো, জেসিবি মাটি চাপা দিয়ে দিল। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি? সেই বিষয়ে তো জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মুখে কোনও কথা নেই?

মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের তরফে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে প্রকাশ্যে করা বেশ কিছু কুকথার ভিডিও তুলে ধরেন। বলেন, শুধুমাত্র বাংলায় নয় গোটা দেশ জুড়ে এখন ভাষা সন্ত্রাস চলছে। বিরোধী দলনেতার মুখের ভাষা শোনার অযোগ্য। এদিনের  ভিডিও ক্লিপিংস তার প্রমাণ। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তার নামে যে ভাষা সন্ত্রাস চলছে, যারা এই কুকথা বলছেন তাদের শাস্তি হবে কবে? তিনি অন্য দল করতেই পারেন। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে অন্য দলের কারোকে তিনি যা ইচ্ছা বলতে পারেন। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করতে পারেন না।তিনি তো কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে খালিস্তানি বলেছেন। তা নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় শুধু বাংলা নয় সারা দেশ জুড়ে হচ্ছে। শিখ সম্প্রদায়কে তিনি যেভাবে অপমান করেছেন, বিষয়টি নিয়ে তার দলই বা কি করল। তাদের মুখে কোনও কথা নেই কেন? মহামান্য আদালতই বা কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, এই বিষয়ে মহামান্য আদালতের প্রতিক্রিয়া কি সেদিকে আমরা তাকিয়ে আছি।

কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। হাওড়ায় বিজেপি নেতা সব্যসাচী ঘোষের কুকীর্তি প্রসঙ্গে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। বিজেপি মুখে কুলুপ এঁটেছে। এরপরই তিনি প্রশ্ন তোলেন, সন্দেশখালির ঘটনা তৈরি করা নয় তো? তার অভিযোগ, একের পর এক কমিশন সন্দেশখালি যাচ্ছে। আজ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গিয়েছে। কিন্তু তারা হাথরাস যায়নি, মণিপুর যায়নি, চোপড়া যায়নি। কেন যায়নি? কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চোপড়ায় যে চারটি শিশু অকালে প্রাণ হারালো, জেসিবি মাটি চাপা দিয়ে দিল। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি? সেই বিষয়ে তো জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মুখে কোনও কথা নেই?

মন্ত্রী বলেন, সন্দেশখালিকে শান্ত করতে পুলিশ-প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। যখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছিল তখন ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। রাজ্য মানবাধিকার কমিশন গিয়েছে। তাদের তো যেতে বারণ করা হয়নি। ধীরে ধীরে যেখানে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হচ্ছে, সেখানে বিজেপির নেতারা গিয়ে উস্কানি দিয়ে পরিবেশকে ফের অশান্ত করছেন। স্বয়ং ডিজি সেখানে গিয়েছেন। জমি নিয়ে যে অভিযোগ, তা ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। টাকা না পাওয়ার অভিযোগ পেয়ে সরকার এখাধিক ক্যাম্প করেছে। মানুষ যাতে অভিযোগ জানাতে পারেন এবং সেই অভিযোগের সমাধান করা যায়।মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় ফের ইচ্ছাকৃভাবে অশান্তি পাকানো হচ্ছে।

 

 

Previous articleএজেন্সির ভয়ে বিজেপিকে অনুদান কর্পোরেটদের! তদন্তের দাবি কংগ্রেসের
Next articleনকল রুখতে নিরাপত্তার কড়াকড়ি! যোগীরাজ্যে পরীক্ষাই দিল না ৩ লক্ষেরও বেশি পড়ুয়া