আধার জটিলতায় বিকল্প নথিতেই ভোট, কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে জানালো তৃণমূল

কোথাও আধার কার্ড পুরোপুরিভাবে বাতিল হয়ে যাচ্ছে, কোথাও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকার সমস্যার সম্মুখিন নাগরিকদের পরিষেবার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এদের ভোটাধিকার নিয়ে ধোঁয়াশা রেখেই দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

লোকসভা ভোটের আগে তিনটি ইস্যুতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেন তৃণমূলের সাংসদদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় শোনালেন স্বস্তির কথা। তিনি জানান নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আধার জটিলতায় ভোটার কার্ড সহ অন্যান্য ১১টি নথি থাকলেই লোকসভা ভোট দিতে পারবেন নাগরিকরা। সেই সঙ্গে নির্বাচনী ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ের তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির পাশাপাশি রাজ্যের সংস্থাও যুক্ত থাকবে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে বলে জানান সাংসদ।

গত প্রায় একসপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রতিদিন রাজ্যের নানা প্রান্তে সাধারণ মানুষ আধার সংক্রান্ত সমস্যায় নাজেহাল। কোথাও আধার কার্ড পুরোপুরিভাবে বাতিল হয়ে যাচ্ছে, কোথাও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকার সমস্যার সম্মুখিন নাগরিকদের পরিষেবার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এদের ভোটাধিকার নিয়ে ধোঁয়াশা রেখেই দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। নির্বাচনে অংশ না নিতে পারলে তাঁদের নাগরিকত্বও প্রশ্নের মুখে পড়ার সম্ভাবনা। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে সমস্যার বিষয়ে আলোচনা করেন তৃণমূলের সাংসদদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল – সুখেন্দুশেখর রায়, দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল, সাজদা আহমেদ ও সাকেত গোখলে।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় জানান, আধার রেগুলেশনে ২৯/১ ধারা অনুযায়ী আধারকার্ড একেবারে বা সাময়িকভাবে অকেজো করতে হলে সরেজমিনে তদন্ত করতে হবে। যাদের এরকম হওয়ার সম্ভাবনা তাঁদের হিয়ারিং-এ ডাকতে হবে। এই দুটি প্রক্রিয়া ছাড়া যা করা হয়েছে তা আধার আইন পরিপন্থী, একথা কমিশনকে জানানো হয়। এরপরই কমিশন জানায় ভোটার কার্ড সহ ১১টি নথি থাকলে ভোট দিতে পারবেন নাগরিকরা।

আধার সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও নির্বাচনী ব্যয় সংক্রান্ত তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়। যেখানে কমিশন জানিয়েছে, ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ের দেখভালের জন্য ইডি, এক্সাইজ দফতর, জিএসটি, আয়কর দফতরের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের পুলিশ ও অন্যান্য এজেন্সি থাকবে এই তদন্তে।

অন্যদিকে উত্তরদিনাজপুরের চোপড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দ্বায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য চার শিশুর মৃত্যুর ঘটনার অভিযোগ জানিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কমিশনের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখার অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করারও নির্দেশ দেওয়ার কথা বলা হয়।

Previous articleএকগুচ্ছ উন্নয়নের বার্তা নিয়ে সোম থেকে জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী
Next articleউত্তরপাড়ায় মৃত্যুশোকে ২২ দিন ঘরবন্দি স্ত্রী-পুত্র-কন্যা, দরজা ভেঙে উদ্ধার পুলিশের