আলুচাষিদের জন্য হিমঘরে জায়গা রাখা বাধ্যতামূলক করল রাজ্য সরকার

হিমঘরের সংরক্ষিত জায়গায় প্রত্যেক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি ২৫ কুইন্টাল করে আলু রাখতে পারবেন। সর্বোচ্চ এই সীমার মধ্যে আলু রাখার ক্ষেত্রে আগ্রাধিকার পাবেন কিষাণ ক্রেডিট কার্ড যাদের রয়েছে, সেই চাষিরা।

আলুচাষে ব্যাপক ক্ষতি থেকে রাজ্যের চাষিদের নতুন রক্ষাকবচ রাজ্য সরকারের। এবার থেকে হিমঘরে আলুচাষিদের জন্য জায়গা রাখা বাধ্যতামূলক করা হল। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী একটি প্রশাসনিক বৈঠক থেকে রাজ্যের আলু চাষিদের হিমঘরের (cold storage) সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের পরই কৃষি দফতর নতুন নিয়ম কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু করে। গোটা রাজ্যে কীভাবে বেসরকারি হিমঘরে এই নিয়ম বাস্তবে কার্যকর করা সম্ভব হয়, তা নিয়ে জেলা প্রশাসনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছে রাজ্য কৃষি দফতর (agriculture department)।

রাজ্য কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রত্যেক হিমঘরে ২০ শতাংশ জায়গা রাজ্যের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক আলুচাষিদের জন্য সংরক্ষিত (reserved) রাখতে হবে। বছরের ২০ মার্চ পর্যন্ত এই জায়গা সংরক্ষিত রাখতে হবে। তার পরেও জায়গা ফাঁকা থাকলে মালিক সেই জায়গা ভাড়া দিতে পারবেন। এই কারণে হিমঘর মালিককে সরকার কোনও ভর্তুকি (subsidy) বা আর্থিক সাহায্য করবে না বলেও জানানো হয়েছে। হিমঘর মালিকদের জন্য এই প্রাথমিক নির্দেশিকা জারি হয়েছে।

সেই সঙ্গে চাষিদেরও হিমঘরের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দেশিকা দিয়েছে রাজ্য কৃষি দফতর। হিমঘরের সংরক্ষিত জায়গায় প্রত্যেক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি ২৫ কুইন্টাল করে আলু রাখতে পারবেন। সর্বোচ্চ এই সীমার মধ্যে আলু রাখার ক্ষেত্রে আগ্রাধিকার পাবেন কিষাণ ক্রেডিট কার্ড যাদের রয়েছে, সেই চাষিরা। ২০ মার্চের মধ্যে তাঁদের আলু রাখতে হবে হিমঘরে।

Previous articleবিরাটের নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়া নিয়ে ফের একবার মুখ খুললেন সৌরভ, কী বললেন মহারাজ?
Next articleসারি-সারনা ধর্মের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনে আন্দোলন, মাহাতোদের ভৌগলিক জনগণনা: বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর