কংগ্রেসের ‘সঙ্কটমোচনে’ সিমলায় ভুপেশ বাঘেল- ভূপেন্দ্র সিং হুডা- ডি কে শিবকুমার!

পদ্ম শিবিরের ১৫ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল আগেই। এর প্রতিবাদে বাকি ১০ জন ওয়াক আউট করায় তাঁদের অনুপস্থিতিতেই বাজেট পেশ করে সরকার।

হিমাচলে সরকার বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা কংগ্রেসের। একদিকে সুখবিন্দর সিং সুখু (Sukhwinder Singh Sukhu)তাঁর পদত্যাগের খবরকে গুজব বলে অভিহিত করেছেন। আবার অন্যদিকে দলের সংকটকাল কাটাতে ভুপেশ বাঘেল- ভূপেন্দ্র সিং হুডা- ডি কে শিবকুমার (Bhupesh Baghel-Bhupendra Singh Hooda-DK Shivakumar)সেখানে পাঠানো হয়েছে বলেই বুধবার জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh)। তাঁর কথায় ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলতেই হিমাচলে (Himachal Pradesh)পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাই কম্যান্ড। এই ডামাডোলের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সুখু সরকারের জন্য স্বস্তির খবর। রাজ্য বিধানসভায় সফলভাবে বাজেট পাশ করার পর এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হল বিধানসভা অধিবেশন।

নিজেদের অবস্থান গুছিয়ে নেওয়ার জন্য বড় সুযোগ পেল কংগ্রেস সরকার বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যেহেতু পরবর্তী à§© মাস অধিবেশন হবে না তাই আপাতত বিরোধীদের কোনও চ্যালেঞ্জ বা হুমকির মুখোমুখি হতে হচ্ছে না হাত সরকারকে। বুধবার হিমাচল বিধানসভায় ২০২৪-২৫ সালের বাজেট পেশ হয়েছে। বিজেপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন না। পদ্ম শিবিরের à§§à§« জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল আগেই। এর প্রতিবাদে বাকি ১০ জন ওয়াক আউট করায় তাঁদের অনুপস্থিতিতেই বাজেট পেশ করে সরকার। এদিন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন এজেন্সি আর টাকা ব্যবহার করে বিজেপি মানুষের মতামত বদলে দিতে চাইছে। পাঞ্জাবের মন্ত্রী এবং আপ নেতা হরপাল সিং চিমা বলেছেন, “হিমাচল প্রদেশে এখন বিধায়কদের ঘোড়দৌড়ের কাজ শুরু হয়েছে। এটা দেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। দেশের মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে যে বিজেপি গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। গণতন্ত্র বাঁচাতে জনগণ এগিয়ে আসবে।” মঙ্গলবার রাজ্যসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি পরিষদীয় দলের নেতা জয়রাম ঠাকুর, দলীয় বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপাল শিব প্রতাপ শুক্লার সঙ্গে দেখা করেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ অভিযোগ করে তিনি ফ্লোর টেস্ট চেয়েছিলেন। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে বলেও তোপ দাগেন জয়রাম ঠাকুর। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, ঘর সামলানোর দায়িত্ব দিয়েছেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার, হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা এবং ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেলকে। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।