আস্থা ভোটের দাবিতে বিধানসভায় চূড়ান্ত অসভ্যতা! হিমাচলের ১৫ বিজেপি বিধায়ককে বহিষ্কার স্পিকারের

লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে বিহার, ঝাড়খণ্ডের পর এবার পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh)। সময় যত এগোচ্ছে ততই সরকার গঠনের মরিয়া প্রচেষ্টা বিজেপির (BJP)। হিমাচলে কংগ্রেস (Congress) সরকারকে সরানোর সমস্ত প্ল্যান রেডি করে ফেলেছে গেরুয়া শিবির। আর বিজেপির এই গাজোয়ারির বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। বুধবার সকালেই খবর পাওয়া যায় বিধানসভায় (Asseembly) আস্থাভোটের (Trust Vote) দাবি জানিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন বিজেপি বিধায়কেরা। রাজভবন থেকে বেরিয়ে বিধানসভায় স্পিকারের ঘরে গিয়ে আস্থা ভোট করানোর পাশাপাশি হট্টগোল শুরু করলে ১৫ বিজেপি বিধায়ককে বহিষ্কার করেন তিনি। এরপরই বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শনে সামিল হয় বিজেপি বিধায়করা। বহিষ্কৃত বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুরও।

তবে শুধু জয়রাম নন বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন বিপিন সিং পরমার, রণধীর শর্মা, লোকেন্দ্র কুমার, বিনোদ কুমার, হংস রাজ, জনক রাজ, বলবীর বর্মা, ত্রিলোক জামওয়াল, সুরিন্দর শোরি, দীপ রাজ, পুরান ঠাকুর, দিলীপ ঠাকুর এবং ইন্দর সিং গান্ধী। মঙ্গলবারই রাজ্যসভার ভোটের ফলে কংগ্রেসকে ভাগ্যের জোরে হারানোর পর বিজেপি দাবি তোলে লোকসভা ভোটের আগেই সে রাজ্যে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটবে। আর সেকারণেই খুব শীঘ্রই রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে আস্থাভোট নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন বলে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে জল্পনা। সেই আবহেই বুধবার সকালে বিধানসভায় অনাস্থাভোটের দাবি জানান বিজেপি বিধায়কেরা। মঙ্গলবারই হিমাচলে রাজ্যসভা আসনের ভোটে বিজেপির প্রার্থী হর্ষ মহাজন হারিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে। ৬৮ সদস্যের বিধানসভায় দু’পক্ষই ৩৪টি করে ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। কংগ্রেসকে হারিয়ে জয় হাসিল করে বিজেপি।

এদিকে সময় যত গড়াচ্ছে হিমাচলে সরকার ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। যেমন করেই হোক হিমাচল দখল করার লক্ষ্যে চেষ্টার কোনও কসুর রাখছে না গেরুয়া শিবির। এমন আবহে বুধবার সকালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য সিং। তাঁর সুখবিন্দর নাকি বিধায়কদের উপেক্ষা করেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁর বাবা তথা হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বীরভদ্র সিংহকেও সুখবিন্দর অসম্মান করেছেন বলেও এদিন অভিযোগ করেছেন বিক্রমাদিত্য। তবে কংগ্রেস ছাড়তেই বিক্রমাদিত্যের বিজেপি যোগের সম্ভাবনা আরও প্রকট হচ্ছে।

 

 

 

Previous articleস্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার পদে বসা নিয়ে স্বাস্থ্যভবনে পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য
Next articleমমতা-ম্যাজিকে মাতল বাঁকুড়া, মহিলা-যুবদের ভিড়ে জনসমুদ্র খাতড়ার সভা