দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলল খোদ সুপ্রিম কোর্ট!

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জিবি পারদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রের (Justice GB Pardiwala and Manoj Mishra) বেঞ্চের মন্তব্য, দেশের ফৌজদারি বিচার (criminal justice system) ব্যবস্থা নিজেই যেন এক মূর্তিমান শাস্তি।

স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে স্বামীর সাজা হয়েছিল। সেই মামলার নিস্পত্তি করতে লেগে গেল ৩০ বছর! এত বছর পর ‘রায়’ খারিজ করল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এরপরই বিচারপতি বলেন যে শুনানি শুরু হতেই যে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে মাত্র ১০ মিনিট লাগলো তার জন্য ৩০ বছর ধরে চলল মামলা। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জিবি পারদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রের (Justice GB Pardiwala and Manoj Mishra) বেঞ্চের মন্তব্য, দেশের ফৌজদারি বিচার (criminal justice system) ব্যবস্থা নিজেই যেন এক মূর্তিমান শাস্তি।

১৯৯৩ সালের এক মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁর স্বামী ও নিকট আত্মীয়রা অর্থের জন্য প্রতি মুহূর্তে হেনস্থা করতেন । এমনকি আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করে আদালতে যান তিনি। স্বামীর বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। এরপর ১৯৯৮ সালে নিম্ন আদালত অভিযুক্ত স্বামীর সাজা ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে হাইকোর্টও সেই রায় বহাল রাখে। স্বামী তা চ্যালেঞ্জ করে যান সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলায় জিবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার কারণ হিসেবে শুধুমাত্র হেনস্থা করার অভিযোগ যথেষ্ট নয়। অভিযুক্ত সেখানে সরাসরি কোন কিছু করেছেন সেটা প্রমাণ করতে হবে। বিষয়টি সন্দেহাতীত না হলে সিদ্ধান্তে আসা অনুচিত বলেও আদালত জানায়। এরপরই দুই বিচারপতির মন্তব্য, ভারতীয় ফৌজদারি আইনের ৩০৬ ধারা অনুসরণে আবেদনকারীকে সাজা দেওয়া যে অনুচিত, সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে মাত্র ১০ মিনিট লাগল। অথচ সেই মামলার রেশ চলল এত বছর ধরে। দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা সত্যিই মূর্তিমান সাজার সমান।


Previous articleঅ্যালকেমিস্ট-তদন্তে আগে মিঠুনকে ধরুক! অরূপকে ED-র নোটিশে তীব্র আক্রমণ কুণালের
Next articleধরমশালা টেস্টেও অনিশ্চিত রাহুল, চিকিৎসার জন্য পাড়ি বিদেশে