ধরমশালা টেস্টেও অনিশ্চিত রাহুল, চিকিৎসার জন্য পাড়ি বিদেশে

এ বার যা পরিস্থিতি তাতে সেটাও সম্ভব নয়। লন্ডনে চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন রাহুল

রাঁচি টেস্ট জয়ের সঙ্গে সঙ্গে সিরিজ মুঠোয় ভরে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। ধরমশালা টেস্ট এখন শুধুই নিয়মরক্ষার। ৩-১ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে থাকার পরও অবশ্য অস্বস্তিতে রোহিত শর্মা। ভারতীয় শিবির লোকেশ রাহুলকে নিয়ে বেশ চিন্তিত। রাজকোট টেস্টের আগে রাহুল ৯০ শতাংশ ফিট ছিলেন বলে জানিয়েছিল বোর্ড। কিন্তু রাঁচি টেস্টে তিনি খেলতে পারেননি। শোনা যাচ্ছিল ধরমশালায় ফিরবেন রাহুল। এ বার যা পরিস্থিতি তাতে সেটাও সম্ভব নয়। লন্ডনে চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন রাহুল।
দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে শুধু খেলতে পেরেছিলেন রাহুল। তারপরই তিনি চোট পান। দীর্ঘদিন বেঙ্গালুরুর এনসিএতে রিহ্যাবে ছিলেন। নেটে ব্যাটিং অনুশীলনও করেছেন রাহুল। কিন্তু ম্যাচ ফিট হয়ে উঠতে পারেননি এখনও। এরই মাঝে জানা গিয়েছে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছেন রাহুল। বিসিসিআইয়ের তরফে জানা গিয়েছে, ‘মেডিকেল টিম প্রথমে ভেবেছিল রাহুল শেষ তিন টেস্টে খেলতে পারবেন। কিন্তু ও কিছুটা অস্বস্তিতে ছিল। রাহুল নিজেও খানিকটা চিন্তিত ছিলেন। বিশ্বকাপ ও দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজে উইকেট কিপিং করার সময় বেশ চাপ সহ্য করতে হয়েছে রাহুলকে। তাঁর একাধিক স্ক্যানও করা হয়েছে। অবশ্য উদ্বেগের কিছু নেই। তাঁর ব্যাথা রয়েছে। ইংল্যান্ডে তাঁর চিকিৎসার জন্য চিকিৎসককে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। তারপর তাঁর চিকিৎসক তাঁকে ইংল্যান্ডে যেতে বলেছেন যাতে সামনে থেকে পরীক্ষা করা যেতে পারে রাহুলের কী সমস্যা রয়েছে।’

আগামী ৭ মার্চ থেকে শুরু হবে ধরমশালা টেস্ট। রাহুল পুরো ফিট না হলে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট ধরমশালায় দেবদত্ত পাড়িক্কালকে খেলাতে পারে। রজত পাতিদারকে সুযোগ দিয়ে দেখেছেন রোহিত-দ্রাবিড়রা। কিন্তু রজত নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে দাগ কাটতে পারেননি। যে কারণে তাঁর জায়গায় দেবদত্তকে সুযোগ দিতে পারেন রোহিতরা। বোর্ডের এক সূত্র জানিয়েছে, টিম ম্যানেজমেন্ট আপাতত চাইছে রজত পাতিদার এ বার রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে খেলে ছন্দ ফিরে পান। কিন্তু লোকেশ রাহুল টিমে না ফিরলে আবার রজতকে ভারতীয় টিমের সঙ্গে রেখে দেওয়া হতে পারে।

 

Previous articleদেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলল খোদ সুপ্রিম কোর্ট!
Next articleকংগ্রেসের ‘সঙ্কটমোচনে’ সিমলায় ভুপেশ বাঘেল- ভূপেন্দ্র সিং হুডা- ডি কে শিবকুমার!