আইইএম-এ পথ চলা শুরু পূর্ব ভারতের প্রথম প্রাইভেট ক্লাউড কম্পিউটিং ল্যাবের

কম্পিউটিং পরিকাঠামোর আগামী দিনগুলিকে আরও সম্ভাবনাময় করে তুলতে বুধবার পূর্ব ভারতের প্রথম প্রাইভেট ক্লাউড কম্পিউটিং ল্যাব-শুরু হল ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের ইনোভেশন অন্ট্রাপ্রনারশিপ ডেভেলপমেন্টাল সেলে।

অনেকা প্রাইভেট ক্লাউডের অন্যতম বৈশিষ্ট্যগুলি হল এর অত্যন্ত শক্তিশালী ৫৪০+ ফিজিক্যাল কোর ক্লাস্টার, ৮৮০ জিবি র‍্যাম এবং ৯০০০ জিবি সংরক্ষণ ক্ষমতা। এই বৈশিষ্ট্যগুলির সাহায্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে দ্রুত সক্ষম হবে বলেই তাদের আশা। আইইএম সহযোগী হিসেবে পেয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ মেলবোর্নকে।

এরই পাশাপাশি আয়োজিত হয় একটি আলোচনা সভাও, যার বিষয়বস্তু ছিল ক্লাউড কম্পিউটিং, ইন্টারনেট অফ থিংস এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ট্রেন্ডস।

আলোচনা সভায় উঠে আসে ক্লাউড কম্পিউটিং, এআই, এবং ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি) এর ভবিষ্যতের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণও। উপস্থিত ছিলেন এই বিষয়ের পারদর্শী কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বও।

ছিলেন ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট-এর ডিরেক্টর ডঃ সত্যজিৎ চক্রবর্তী; আইওটি ও অ্যাডভান্সড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান দেবজিৎ মুখার্জি; এসটিপিআই কলকাতার অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর দেবাশিস শতপথি, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস-এর মুখ্য বিজ্ঞানী অভিযান ভট্টাচার্য, ওয়েবেল-এর ওএসডি জিহান খান, এবং আইবিএম-এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভাগের জিএম ড. সন্মিত্র সরকার। তাঁদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তাঁরা এই প্রযুক্তিগুলির অভিন্নতা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেগুলির সম্ভাবনার ওপর আলোকপাত করেন।

যুগান্তকারী এই উদ্যোগ সফল করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মোট ৮.২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে । যার ফলে বি.টেক, এম.টেক এবং পিএইচডি পাঠরত ছ’হাজারেরও বেশি পড়ুয়া উপকৃত হবে।

এই পরিকাঠামো চালুর মূল উদ্দেশ্য হল সমাজ এবং নির্দিষ্ট বিভাগের জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং, এআই এবং আইওটি’র পরিবর্তনশীল ক্ষমতার হদিশ করা।

আরও পড়ুন- আদর্শ আচরণবিধি চালুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতার রাস্তা থেকে খুলতে হবে সব পোস্টার, বৈঠকে জানাল কমিশন

ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট-এর ডিরেক্টর ডঃ সত্যজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘পূর্ব ভারতে কম্পিউটিংয়ের ভবিষ্যত গঠনের ক্ষেত্রে আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি, এই প্রাইভেট ক্লাউড, তার শক্তিশালী পরিকাঠামোর সাহায্যে আমাদের কাজকে সফল করবে বলেই আমাদের আশা। এর ফলে শুধু যে বিভিন্ন বিভাগের পড়ুয়ারাই উপকৃত হবে তা নয়, বরং ক্লাউড কম্পিউটিং, এআই, এবং ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT)-এর চাকরির বাজারকেও আরও উন্নত করবে এই প্রচেষ্টা।