সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই ছ বছরের জন্য দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে। এরপরই শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তথা সন্দেশখালিকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আমির গাজিকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। ভিন্রাজ্য থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। শাহাজাহানের পাশাপাশি তাঁকেও বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করানো হয়েঠে। আমিরকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সন্দেশখালির বাসিন্দা আমির ধৃত আর এক নেতা উত্তম সর্দারের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে অত্যাচার, জবরদখল, মারধর, হুমকি দেওয়া এবং ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ওড়িশার রৌরকেল্লা থেকে আমিরকে গ্রেফতার করা হয়।শাহজাহানের পাশাপাশি আমিরকেও অনেক দিন ধরেই খুঁজছিল পুলিশ। বুধবার রাতে তাঁর মোবাইল ফোনের লোকেশন দেখে পুলিশ জানতে পারে, আমির ওড়িশায় রয়েছেন। রাতেই বসিরহাট থানা থেকে এক দল পুলিশ রৌরকেল্লা পৌঁছয়। সেখান থেকে আমিরকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে ৫৫ দিন ‘ফেরার’ থাকার পর বুধবার মিনাখাঁ থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে বসিরহাট আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তাঁর বিরুদ্ধে ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। শাহজাহানের মামলার তদন্তভার গিয়েছে সিআইডির হাতে। রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এই সংক্রান্ত তদন্ত করবে। আপাতত তাঁকে ভবানী ভবনে রাখা হয়েছে। আগামী ১০ দিন সেখানেই সিআইডির গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন তিনি।

এরই পাশাপাশি, সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার।তাঁকে মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল উচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার তাঁর জামিন নিশ্চিত করা হল। মঙ্গলবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ নিরাপদকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়ে জানিয়েছিল, ওই দিনই তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দিতে হবে। তা না দিলে আদালত অবমাননার শামিল হবে। মঙ্গলবার রাতেই নিরাপদকে জেল থেকে ছাড়া হয়। এ বার তাঁকে জামিন দেওয়া হল।
