হাতছাড়া অভিজিৎ, ‘মৌলবাদী’র তকমা সেঁটে শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন বামেদের

তৃণমূলের পক্ষ থেকেও তাঁর নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। একইভাবে মহম্মদ সেলিমও এদিন প্রশ্ন তোলেন তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে। তিনি বলেন, "আর কোনও যুক্তি যখন থাকে না তখন ধর্মের সার্টিফিকেট দরকার হয়।"

আইনের রক্ষক থেকে রাজনৈতিক জীবনে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) অবস্থান বদলানোয় বেজায় মুখ পুড়েছে বামেদের। একসময় ‘ভগবানে’র আসনে জায়গা দেওয়া অভিজিৎ এত সহজে প্রকাশ্যে বামেদের প্রত্যাখ্যান করবেন এবং তার জন্য ধর্মীয় ‘দুর্বলতার’ কারণ তুলে ধরবেন তা হয়তো হজম হয়নি বামেদের। তড়িঘড়ি অভিজিৎকে “বাম মনোভাবাপন্ন নন” বলে দাবি করেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। অথচ এতদিন এই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেই বামেদের মঞ্চে পর্যন্ত দেখা গিয়েছে বক্তব্য রাখতে। রাতারাতি তিনি রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েই মুখ ফেরাবেন এটা হয়তো বামেরা কল্পনা করেননি।

সেলিমের দাবি, “অভিজিৎ বাম মনোভাবাপন্ন নন। কোন রাজনীতিতে যাবে তা ধর্ম নিয়ে নির্ধারিত হয় না। একমাত্র আরএসএস, খালিস্তানি বা মুসলিম মৌলবাদী (cummunal) তারা ঠিক করে রাজনীতি ও ধর্মকে কীভাবে তালগোল পাকাবে। একজন শিক্ষিত মানুষ এভাবে বলতে পারেন না।” কার্যত হাইকোর্টের কোট খুলে রাখার পর তাঁর বিচার নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ বামেরাই এখন তাঁর শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

বিজেপিতে যোগদান নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে কটাক্ষের শিকার হয়েছে অভিজিৎ। বাম ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অভিজিৎ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সমালোচনা শুরু হয়েছিল বাম আইনজীবীদের মধ্যেও। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও তাঁর নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। একইভাবে মহম্মদ সেলিমও এদিন প্রশ্ন তোলেন তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে। তিনি বলেন, “আর কোনও যুক্তি যখন থাকে না তখন ধর্মের সার্টিফিকেট দরকার হয়।” নির্বাচনের আগে নিজের সুবিধার জন্যই অভিজিৎ বিজেপিতে যোগ দেন বলেই দাবি বামেদের।

বামেরা যদিও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের যোগদান নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মত প্রকাশ করেননি কখনও। তবে লোকসভা নির্বাচনে অভিজিতের বিজেপিতে যোগ প্রভাব ফেলতে পারে বাম ভোটেও। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোটও বিশ বাঁও জলে। এদিন সেলিম জানান কংগ্রেসের অবস্থান স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে জোট হবে না। অন্যদিকে নির্বাচনী বন্ড (electoral bond) ইস্যুতে নির্বাচনের আগেই পথে নামছে বামেরা। সেলিমের দাবি এসবিআই-কে (SBI) ঢাল করে নির্বাচনী বন্ড প্রকাশ না করার খেলা খেলছে বিজেপি। সেই জন্যই তথ্য প্রকাশ করার জন্য চারমাস সময় সুপ্রিম কোর্টের কাছে চেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক। সেই কারণে এসবিআই-এর সদর দফতর সহ সব শাখার বাইরে আন্দোলনে নামার কথা ঘোষণা করেন তিনি এদিন।

Previous articleআইসিসির টেস্ট ব়্যাঙ্কিংয়ে সেরা ১০এ ঢুকে পড়লেন যশস্বী
Next articleফিটনেস বাড়াতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে অনুশীলন করবে পাক ক্রিকেটাররা