কৃষক আন্দোলনের পারদ বুধবার থেকে চড়া হওয়ার ইঙ্গিত পেয়েই শিকারি চিতার মত ঝাঁপিয়ে পড়ল বিজেপি সরকার। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে গ্রেফতার করা হল আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য রওনা দেওয়া কৃষকদের। এমনকি শতাধিক কৃষকনেতার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হল কেন্দ্রের তরফে। সারাদেশের কৃষকদের নিয়ে সংগঠিত করতে চলা আন্দোলন এর ফলে দুই বা তিনদিন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কৃষক আন্দোলনের সংগঠনগুলি। যদিও ইতিমধ্যেই বুধবারের আগে বাড়িয়ে দেওয়া হয় রাজধানীর নিরাপত্তা। হরিয়ানা-দিল্লি সীমানা দিয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে, এমনটাও জানিয়ে দেওয়া হয়।
বুধবার সকাল থেকে দিল্লির দিকে পুরো শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেছিল কৃষকদের দুটি অরাজনৈতিক সংগঠন। সেই সঙ্গে বিহার, রাজস্থান থেকে দক্ষিণ ভারতের কেরালা, তামিলনাড়ু থেকেও কৃষকদের সেই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। বুধবার সকালে রাজস্থানের কোটা, বুঁদি এলাকা থেকে রওনা দেওয়া কৃষকদের দলকে সোয়াই মাধোপুরে আটকে দেয় রাজস্থান পুলিশ। দক্ষিণের রাজ্যগুলি থেকে রওনা দেওয়া কৃষকদরে সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাঁরা আদৌ ট্রেনে উঠতে পারলেন কী না, সন্দেহে হরিয়ানার আন্দোলনে নামা কৃষকনেতারা। সেই সঙ্গে বিহারের দিক থেকে আসা কৃষকদরেও আটক দেওয়া হয়।
সেক্ষেত্রে দিল্লির দিকে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে তাদের আরও দু-একদিন সময় লাগবে বলে জানান কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব। তার আগেই সতর্ক দিল্লি পুলিশ। শম্ভু, সিংঙ্ঘু, খানোরি এবং টিকরি সীমানাতে পাহারা বাড়ানো হয়েছে। দিল্লি স্টেশন, মেট্রো স্টেশন এবং বাসস্ট্যান্ডগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কৃষকদের দাবি পুলিশ ট্রাক্টর নিয়ে এগিয়ে যেতে বাধা দিলে রেল-সড়ক যে কোনও পথে দিল্লি প্রবেশ করবেন তাঁরা। অন্যান্য রাজ্যের কৃষকরাও যে কোনও পথে দিল্লিতে আসতে পারেন। সবার লক্ষ্য হবে যন্তর মন্তর।