নির্লজ্জ সিপিএম, সেটিং তাহলে কাদের সঙ্গে?

নির্লজ্জ কত ধরনের হয়? সিপিএমকে না দেখলে বোঝা যায় না। সকাল থেকে রাত অবধি অন্য দলের খুঁত ধরতে দূরবিন নিয়ে ঘুরে বেরায় কমরেডরা। সারাক্ষণ একটাই কথা, রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে কেন্দ্রের শাসক দলের নাকি সেটিং হয়েছে। সেটিংটা কীরকম তা কিন্তু তথ্য দিয়ে বলতে পারে না। শুধু হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া। হিটলারের মন্ত্রী গোয়েবেলসের কায়দায় মিথ্যাচার। কিন্তু মিথ্যাচার করতে করতে শেষ পর্যন্ত পালে বাঘ পড়ে অবস্থা সেই রাখাল বালকের মতো। যেমন সিপিএমের পড়েছে।

সারাক্ষণ বিজেপিকে গালাগালি। দেখানোর চেষ্টা কতো বিজেপি বিরোধী। আর দলের মুখপত্রে মোদির কলকাতার কর্মসূচির বিরাট বিজ্ঞাপন। বিজেপির প্রচার। ভোটের আগে সরকারি অর্থে গেরুয়া প্রচার। আর তাতে হাত মিলিয়েছে সিপিএম। সিপিএমের মুখপত্রে বিজেপির প্রচার। এরা অন্য কোনও দল অরাজনৈতিক সভা ডাকলে যায় না পাছে বলে হাত মিলিয়েছে। আর এখানে বিজেপির বিজ্ঞাপন! সেটিংটা কতদিন লুকিয়ে রাখবেন সুজন-সেলিমভাই? এভাবে কী শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায়? আসলে এই সেটিং তো নয়ের দশক থেকে আমরা দেখেছি। শহিদ মিনারে বাজপেয়ি-জ্যোতি বসুদের হাত ধরে তোলা ছবি তো ফ্রিজ হয়ে গুগলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই ইতিহাসের সূত্র ধরেই সিপিএম হেঁটে বেড়াচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস অবাক হয়নি। এটাই সিপিএমের চরিত্র। সিপিএমের সেটিং। নিজেদের সেটিং ঢাকতে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো। বহু পুরনো অভ্যাস। এই যেমন বিচারপতির বিজেপিতে যোগ। তাকে তো সিপিএম বাংলার মুক্তিসূর্য বানিয়ে ফেলেছিল। এখন মুখে কুলুপ। বিচারপতি যাতে হাইকোর্টের সামনে সাংবাদিক সম্মেলন করতে না পারেন তার জন্য সিপিএমের আইনজীবী মহল কী কী ব্যবস্থা নিয়েছিল সব জানা আছে। এখন বিশ্বাসঘাতকও বলতে ছাড়ছে না। তৃণমূল কিন্তু নতুন কিছু কথা বলেনি। বলেছিল পলিটিক্যাল মোটিভেটেড রায় দিচ্ছিলেন। সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।

আসলে সিপিএমের চরিত্রই হচ্ছে দেরিতে বোধদয়। এবং নাচতে নেমে ঘোমটা টানা। সময় পেরিয়ে গেলেই তারপর বলতে শোনা যায় ভুল হয়েছিল। সংশোধন করে নেব। কিন্তু বারবার সেই ভুল। সাধে না জ্যোতি বসু বিরক্ত হয়ে বলেছিলেন, ঐতিহাসিক ভুল। সেই ভুল এখনও চলছে। সিপিএম রয়ে গিয়েছে সিপিএমেই।

আরও পড়ুন- অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ‘সুবিধাবাদী’, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাফ জানালেন মমতা

Previous articleঅভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ‘সুবিধাবাদী’, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাফ জানালেন মমতা
Next articleঅভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজের দাবি, হাইকোর্টে গেলেন চাকরিহারাদের একাংশ