চাকরিপ্রার্থীদের নিশানায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, তোপ কুণালেরও

সিবিআই তদন্তের নির্দেশ আরও জটিলতা বাড়িয়েছে! আমরা চাকরি পাইনি। ওঁর এদিকটাও ভাবা প্রয়োজন ছিল।

এবার অবসরপ্রাপ্ত বিটারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে বিস্ফোরক চাকরিপ্রার্থীরা। এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ, তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আসলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ভাবেননি। দাবি, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির জন্যই আরও জট বেড়েছে, চাকরি পাননি তাঁরা। এসএলএসটি ২০১৬ সালের নবম-দশম বিভাগের চাকরিপ্রার্থী শহীদুল্লার অভিযোগ, আমাদের উনি দালাল বলেছেন। আমাদের ১১০০ দিনের বেশি ধরে চলা ধরনা মঞ্চ নিয়েও প্রশ্ন করেছেন তিনি। শহীদুল্লার আরও দাবি, তারা ২০২৩ সালেই চাকরি পেয়ে যেতাম।তাদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ আরও জটিলতা বাড়িয়েছে! আমরা চাকরি পাইনি। ওঁর এদিকটাও ভাবা প্রয়োজন ছিল।

শুক্রবার  চাকরিপ্রার্থীরা ফের সাক্ষাৎ করেন কুণাল ঘোষের সঙ্গে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন,চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে কারও যদি কোন ভুল থেকে থাকে তার তদন্ত হোক, দোষীরা শাস্তি পাক। কিন্তু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এক এক সময় এক এক রকম কথা বলেছেন। সরকার এবং প্রশাসন চাকরি দেওয়ার চেষ্টা করছে অথচ কখনও কোন বিচারপতি অথবা কোনও আইনজীবী এই পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। তারা বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছেন, আর সেই রাজনীতিতে ভুগছে ছাত্র-ছাত্রীরা। তারা এমন কিছু আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন যা পুরো বিষয়টিকে আরও জটিল থেকে জটিলতার করে দিচ্ছে।।
যার নিট ফল, যোগ্যপ্রার্থীদের চাকরি হচ্ছে না। সেই যন্ত্রণাই তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীর নজরে আছে। আগামী সোমবার ফের একটি বৈঠক হবে, কিভাবে সেই জট খোলা যায়। রায়ে এমন কিছু লেখা হয়েছে যাতে জট খোলার পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে।। সেখানে আদালতের কিছু অনুমতি প্রয়োজন আবার এমন কিছু করা যাবে না যা নিয়ে আরও আইনি জটিলতা তৈরি হয়।
কুণালের অভিযোগ, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্ব-বিরোধীতা, দ্বিচারিতা করছেন। এমন ভাবে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে যে চাকরির পথগুলো পর্যন্ত বন্ধ। তিনি সিবিআই দিয়েছেন অথচ চাকরির পথ খোলার মতো কোনও রায় দিতে পারেননি। আসলে বিরোধীরা চাইছে ইস্যুটা জিইয়ে রাখতে। ধরনা মঞ্চ যেন থাকে, তাহলে রাজনীতি করতে সুবিধা হবে। শুধু তাই নয় কুণাল এদিন অভিযোগ করেন,সিবিআইয়ের এফআইআরে যার নাম আছে সেই শুভেন্দু অধিকারী, যিনি নিজে বলেছেন আমার জীবনের প্রমাণিত সত্য নারদা, তার হাত থেকে তিনি পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ক্লিনচিট দিচ্ছেন শুভেন্দুকে। কীভাবে এটা সম্ভব? বিচার শেষ হলো না, তার আগেই উনি ক্লিনচিট দিচ্ছেন।

 

Previous articleকোনারক মন্দিরের ভাস্কর্যের সঙ্গে মিনি স্কার্টের তুলনা টানলেন মোদি!
Next articleকথা রাখেননি অমিত শাহ, জোরালো হচ্ছে নাগাল্যান্ডের আন্দোলন