কথা রাখেননি অমিত শাহ, জোরালো হচ্ছে নাগাল্যান্ডের আন্দোলন

প্রতিবাদে শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দেয় ইএনপিও। তাঁদের সঙ্গে রয়েছে ছাং জনজাতির দুটি সংগঠনও। এরপর পাবলিক এমার্জেন্সির পথেও যেতে পারে জনজাতি গোষ্ঠীগুলি।

মণিপুরের পর নাগাল্যান্ডও প্রমাণ করে দিচ্ছে কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনা। বিধানসভা ভোটের আগে পৃথক রাজ্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও তা নিয়ে নীরব হয়ে যাওয়ায় এবার আন্দোলনের পথে পূর্ব নাগাল্যান্ডের (Nagaland) জনজাতি গোষ্ঠীগুলি। শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকে ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিপলস অর্গানাইজেশন (ENPO)। বনধ শেষে পরবর্তী পরিকল্পনা স্থির করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন বয়কট করার পথেও যেতে পারেন তাঁরা।

২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের আগে নাগাল্যান্ডে প্রচারে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পূর্ব নাগাল্যান্ডের জেলাগুলি নিয়ে পৃথক রাজ্য – ফ্রন্টিয়ার নাগাল্যান্ড টেরিটরি (FNT), তৈরি হবে। ইএনপিও-কে পূর্ব নাগাল্যান্ডের ছয় জেলা – কিফিরে, লংলেং, মোন, নোকলক, শামাতোর ও তুয়েনসাং নিয়ে পৃথক রাজ্য় গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। পৃথক প্রশাসন, আইন, বিচার ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তার জন্য এক বছরের মধ্যে মৌ (MoS) সাক্ষর হওয়ার কথাও বলা হয়। কিন্তু এপর্যন্ত তা নিয়ে কোনও উদ্যোগ নেয়নি কেন্দ্র সরকার।

প্রতিবাদে শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দেয় ইএনপিও। তাঁদের সঙ্গে রয়েছে ছাং জনজাতির দুটি সংগঠনও। এরপর পাবলিক এমার্জেন্সির (Public Emergency) পথেও যেতে পারে জনজাতি গোষ্ঠীগুলি। এফএনটি তৈরি হবে এই প্রতিশ্রুতিতে লোকসভা ভোট বয়কটের দাবি থেকে সরে এসেছিল সাতটি জনজাতি গোষ্ঠী। তবে এবার সিদ্ধান্ত বদল হওয়ার সম্ভাবনা।

ইতিমধ্যে লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে ত্রিপুরায় তিপ্রামথার (Tipra Motha) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তারপরই পুরোনো বামেদের জোট ছেড়ে এনডিএ-কে সমর্থন করার কথা জানিয়েছে তিপ্রামথা। এবার বিজেপিকে চাপ দিয়ে লোকসভা ভোটের আগে নিজেদের দাবি আদায়ের পথে এগোচ্ছে ইএনপিও।

Previous articleচাকরিপ্রার্থীদের নিশানায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, তোপ কুণালেরও
Next article৯২-তে বিয়ের পিঁড়িতে রুপার্ট ! বান্ধবী এলিনা জুকোভার সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন