স্বাধীন দেশের সব নাগরিকের নিজের মত প্রকাশের অধিকার (Freedom of Speech)রয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলা মানেই সেটা অপরাধ নয়। মহারাস্ট্র পুলিশের (Maharastra Police)ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মহারাষ্ট্রের কোলাপুর কলেজের অধ্যাপক জাভেদ আহমেদ হামজা সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরোধিতা করে একটি স্টেটাস দিন। জন্মসূত্রে কাশ্মীরি ওই অধ্যাপক মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘অভিশপ্ত’ আখ্যা দিয়ে নিজের স্টেটাসে লেখেন,’ ৫ আগস্ট দিনটা ভারতের ইতিহাসে কালো দিন’। একই সঙ্গে তিনি ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছাও জানান। এরপরই ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে মহারাষ্ট্র পুলিশ।

এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম আদালত স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দিল যে বাক স্বাধীনতায় এভাবে হস্তক্ষেপ করা বাঞ্ছনীয় নয়। কেউ রাষ্ট্রের সমালোচনা করলেই তিনি অপরাধী এই ভাবনা ভুল। গণতান্ত্রিক দেশে পুলিশের শিক্ষার প্রয়োজন বলেও প্রশাসনকে তিরস্কার করে শীর্ষ আদালত। ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯১(১)(এ) প্রত্যেক নাগরিককে মতপ্রকাশের অধিকার দেয়। সেই অনুচ্ছেদই ৩৭০ ধারা বাতিল বা সরকারের অন্য কোনও সিদ্ধান্তের সমালোচনার অধিকার দেয় দেশের প্রত্যেক নাগরিককে। সরকারি সিদ্ধান্ত অখুশি হলে সেটা প্রকাশ করার জন্য কারোর বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না। এরপরই শীর্ষ আদালত বলে ৫ আগস্টকে কালো দিন বলা বা সরকারি সিদ্ধান্তে ক্ষোভ এবং দুঃখপ্রকাশ করার মধ্যে কোনও অপরাধ নেই। পাক নাগরিকদের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানানোটাও সৌজন্য। তাই এর উপর ভিত্তি করে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। তাই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত পুলিশকর্তাদের বলেই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।
