“ব্রিগেডের ট্রেন বাতিল কেন?” শিলিগুড়িতে মোদির সভার প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নবাণ তৃণমূলের

তৃণমূল কংগ্রেসের আরেক নেতা পার্থ প্রতিম রায় তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, "আজকে শিলিগুড়িতে জনসভাতে বক্তব্য দিতে আসার আগে আমরা দেখলাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের বিনোদনের জন্য অসমে হাতির পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।"

প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Narendra Modi)তাঁর জমিদারি আদবকায়দা বজায় রেখেছেন। আজ, শনিবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) রাজনৈতিক সভায় যোগ দিতে আসার আগে অসমে হাতির পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন অথচ সাধারণ মানুষের কলকাতা বা ব্রিগেডে যাওয়ার যে ট্রেন তৃণমূলের তরফে আগাম বুকিং করেছিল তা জমিদারি ফলিয়ে বাতিল করেছেন। এর থেকেই বোঝা যায় যে, বিজেপি (BJP)উত্তরবঙ্গের সাধারণ মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের যে বঞ্চনা তার দাবি কলকাতায় এসে তুলে ধরবেন সেই রাস্তা রাখতে চাইছে না। অর্থাৎ জমিদার সাহেব নিজের একনায়কতন্ত্র ফলিয়ে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলার লোকেদের আটকে দিতে চাইছেন। এমনটাই অভিযোগ করল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

রাজ্যের শাসক দলের তরফে মোদিকে প্রশ্ন, এটাই কি মোদির গ্যারিন্টি যেখানে সাধারণ মানুষ নিজের ইচ্ছে কোনও জায়গায় যেতে পারবে না ,নিজের ইচ্ছেমতো খাবার খেতে পারবে না , নিজের ইচ্ছেমতো পোশাক পরতে পারবে না। বাংলার মানুষ মোদির এমন স্বৈরাচারী মানসিকতার জবাব আগামী নির্বাচনে সুদে আসলে দেবেন বলে দাবি রাজ্যের শাসক দলের।

এ প্রসঙ্গে দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদই আজকে শিলিগুড়িতে আসছেন উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে তার অমৃত বাণী প্রচার করতে। এখানে আসার আগে তিনি আগেকারদিনের জমিদারদের মতো আসামে হাতি পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ালেন। এটাই স্বাভাবিক, যেভাবে তিনি পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছেন, যে ভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে দিয়েছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে যে তিনি বাংলার জনগণের ওপর হাতির বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন। অথচ উত্তরবঙ্গরবাসী ব্রিগেডে যাবে বলে আগাম অর্থ দিয়ে ট্রেন বুক করা হয়েছিল তা বাতিল করে দিয়েছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে তিনি জমিদার প্রথা চালাবার চেষ্টা করছেন আমি মনে করি, আগামিদিনে এর জবাব উত্তরবঙ্গের মানুষ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে বুঝিয়ে দেবে।”

তৃণমূল কংগ্রেসের আরেক নেতা পার্থ প্রতিম রায় তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, “আজকে শিলিগুড়িতে জনসভাতে বক্তব্য দিতে আসার আগে আমরা দেখলাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের বিনোদনের জন্য অসমে হাতির পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইতিমধ্যে আপনি বাংলায় তিনটি জনসভাতে উপস্থিত থেকে রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছেন কিন্তু বাংলার যে ন্যায্য দাবি ১০০ দিনের টাকা থেকে শুরু করে, আবাস যোজনার টাকা সমস্ত কিছু আটকে রেখে দিয়েছেন তা নিয়ে একটা বক্তব্য রাখেননি। পাশাপাশি চা বাগানগুলোর যে হতশ্রী অবস্থা যেগুলোকে আপনাদের অধিগ্রহণ করার কথা ছিল আপনারা করেননি, রাজবংশী কামতাপুরি ভাষা আপনাদের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ছিল সেটাও হয়নি, নারায়ণী সেনা দেওয়ার কথা সেটাও করেননি। শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গের মানুষের সঙ্গে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চনা করেছেন। জমিদারি প্রথা ফলিয়ে ব্রিগেডে যাবার ট্রেনগুলি বাতিল করছেন এর জবাব আপনাকে উত্তরবঙ্গের মানুষ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মানুষ দেবে।”


Previous articleপ্যারাসুট না খোলায় বড়সড় অঘটন! গাজায় ফের মৃত্যু ৫ শরণার্থীর
Next article৩০০-র মধ্যে ৩১৫! বেঙ্গালুরুর নার্সিং কলেজের পরীক্ষার নম্বরে চক্ষু চড়কগাছ