কাজিরাঙায় ‘জমিদারি’ নরেন্দ্র মোদির, সমালোচনায় বিরোধীরা

তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ লেখেন, "প্রধানমন্ত্রী জমিদারি মনোভাবে সম্পূর্ণ প্রদর্শন। বাংলায় আসার আগে তিনি আসামে হাতির পিঠে সফর উপভোগ করছেন, যখন বাংলার মানুষ দুবছর ধরে তাদের টাকা আটকে রাখার যন্ত্রণা ভোগ করছেন।

কয়েকদিন আগে বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারির তৃতীয় দিনে ঘটা করে দেশের মহিলাদের পাশে থাকার অনেক কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছিল যে প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের জন্য এত ব্যথিত তিনি কেন একটি শব্দ আজও পর্যন্ত খরচ করলেন না মণিপুরের নির্যাতিতাদের জন্য। শনিবার সেই নরেন্দ্র মোদিকেই দেখা গেল উত্তর পূর্বের অন্যতম জাতীয় উদ্যান কাজিরাঙায় বিশালবহুল ভ্রমণে। একদিকে যখন বাংলার মানুষ নিজের প্রাপ্য পান না, তখন আসামে ভ্রমণে ব্যস্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই আচরণকে ‘জমিদারি’ (Zamindari Attitude) কটাক্ষ তৃণমূলের। সমালোচনায় সরব কংগ্রেসও।

শনিবার বাংলায় সভার আগে মোদি আসামের কাজিরাঙা ন্যাশানাল পার্কে (Kaziranga National Park) হাতির পিঠে, কখনও হুড খোলা জিপে ভ্রমণে যান। সেই সব ছবি তুলে ধরেন সোশ্যাল মিডিয়াতেও। তারপরই সমালোচনায় সরব তৃণমূল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী জমিদারি মনোভাবে সম্পূর্ণ প্রদর্শন। বাংলায় আসার আগে তিনি আসামে হাতির পিঠে সফর উপভোগ করছেন, যখন বাংলার মানুষ দুবছর ধরে তাদের টাকা আটকে রাখার যন্ত্রণা ভোগ করছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রাইভেট প্লেনে বিশেষ সফর উপভোগ করেন অথচ দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার – উত্তর বাংলার আমাদের ভাই বোন সাধারণ মানুষের ট্রেন বাতিল করে দেন।” সেই সঙ্গে তিনি ব্যাখ্যা করেন, “এটা জমিদারি আচরণ ছাড়া আর কিছু না এবং সেই জন্যই আমরা তাঁকে বাংলা বিরোধী এবং বহিরাগত বলি।”

পাশাপাশি কংগ্রেস থেকেও মোদির কাজিরাঙায় সফরের সমালোচনা করা হয়। কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh) উত্তর পূর্বের চারটি ইস্যু তুলে ধরে নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। ২০২০ সালে অরুনাচল থেকে কিশোরকে চিনের সৈন্যরা অপহরণ করে নিয়ে গেলে সেই সময় ইতিবাচক কোনও ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। এমনকি সেই ঘটনায় চিন উত্তর পূর্বের কতটা এলাকা জবরদখল করে চলেছে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও কেন্দ্র সরকার আজও তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়নি। সেই সঙ্গে মণিপুরের সমস্যায় মোদির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। নাগাল্যান্ডে পৃথক জনজাতির রাজ্যের প্রতিশ্রুতি দিলেও কেন্দ্র সরকার এক বছরে তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে সম্প্রতি উত্তাপ বাড়ছে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যেও। তবু কেন নীরব হয়ে কাজিরাঙায় ভ্রমণে ব্যস্ত নরেন্দ্র মোদি, সেই প্রশ্ন তোলেন জয়রাম রমেশ।

Previous articleসাতসকালে বল্লভ ভবনের সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
Next articleআগামিকাল মেগা ডার্বি , বড় ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট লক্ষ্য হাবাসের