মমতা-অভিষেকের ডাকে রবিবার ‘জনগর্জন সভা’য় প্রতিবাদের টর্নেডো তুলতে প্রস্তুত ব্রিগেড

“পায়ে পায়ে উড়িয়ে ধূলো, ১০ মার্চ ব্রিগেড চলো”-এই স্লোগানকে সামনে রেখে সেজে উঠছে তৃণমূলের (TMC) জনগর্জন সভা। রবিবারের এই ঐতিহাসিক সমাবেশ ঘিরে চলেছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সাম্প্রতিক কালেও দেশে এরকম ঐতিহাসিক বর্ণময় রাজনৈতিক জমায়েত হয়নি- মত তৃণমূল নেতৃত্বের। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “মহাজনসমুদ্র। ব্রিগেডে এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় ঐতিহাসিক সমাবেশ হবে।“

ব্রিগেডে রাজনৈতিক সমাবেশ বহু হয়েছে। কিন্তু ধারে-ভারে-ভিড়ে রবিবার তৃণমূলের (TMC) এই ‘ব্রিগেড চলো’ আক্ষরিক অর্থেই ঐতিহাসিক হতে চলেছে। লোকসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এই জনগর্জনের মঞ্চ থেকেই বাংলার মানুষের উদ্দেশ্যে এবং জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বার্তা দেবেন সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। গত কয়েকদিন ধরে জেলা থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত কতটা কী হচ্ছে তার তদারকিতে মহানগর চষে ফেলছেন অভিষেক। দফায় দফায় ব্রিগেডে আসছেন, ঘুরে দেখছেন গোটা মাঠ।

যে অভিনব মঞ্চ ও ব়্যাম্প তৈরি করা হয়েছে এই সভাকে কেন্দ্র করে তা আগে দেখেনি ব্রিগেড। দেশের কোথাও কোনও জনসভায় এই ধরনের ব়্যাম্প তৈরি করে একেবারে জনতার মাঝে গিয়ে দাঁড়ানোর ভাবনা এর আগে কোনও রাজনৈতিক দল ভাবতে পারেনি। মূল মঞ্চ থেকে প্রায় ব্রিগেডের মাঝ-বরাবর ব়্যাম্প গিয়েছে। যেখানে দাঁড়ালে গোটা মাঠ জুড়ে যে- যেখানেই থাকুন না কেন সকলেই মমতা ও অভিষেককে দেখতে পাবেন। ৩৩০ মিটার লম্বা এই ব়্যাম্প দেখে বিস্ময়ে তাক লাগছে সকলের। শুধু সামনের দিকে নয়, মঞ্চের দু-দিকেও একই রকমভাবে ব়্যাম্প তৈরি করা রয়েছে।

শনিবার বিকেলেও পুরোটা ঘুরে দেখেন অভিষেক। দেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ। শুক্রবার থেকেই শহরে কর্মী-সমর্থকেরা আসতে শুরু করেছেন। শিয়ালদহ, হাওড়ায় একটার পর একটা ট্রেনে বোঝাই হয়ে আসছেন তাঁরা। রবিবার সকালে বাসে, সাধারণ ট্রেনে, জলপথে, গাড়িতে কাতারে কাতারে মানুষ আসবেন। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল পৌঁছবে ব্রিগেডে। সজাগ কলকাতা পুলিশ। নিরপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে ব্রিগেডের।

লোকসভা নির্বাচনের আগে এই জনগর্জন হবে প্রতিবাদের-প্রতিরোধের। বাংলার প্রতি বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠবে লক্ষ কণ্ঠ। এই ব্রিগেড থেকেই জনতা শপথ নেবে দেশ থেকে বিজেপিকে হঠানোর। গায়ের জোরে এজেন্সি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে যে দমিয়ে রাখা যাবে না তা বুঝিয়ে দিয়েছে দল। আগামিকাল এই ঐতিহাসিক ব্রিগেড জানান দেবে বাংলা তাদের ঘরের মেয়েকেই চায়। বাংলা তৃণমূলকেই চায়। এই বাংলায় কোনও বিভেদকামী শক্তির কোনও জায়গা নেই। গোটা শহর এখন জোড়া ফুলের পতাকায় মুড়ে রয়েছে। দিকে দিকে স্লোগান উঠছে- ‘পায়ে পায়ে উড়িয়ে ধূলো, ১০ মার্চ ব্রিগেড চলো’।




Previous articleজন্মহার নিয়ে বিপাকে বিশ্ব! কী ভাবছে ভারত- পাকিস্তান – বাংলাদেশ
Next article‘দুঃখজনক অজুহাত’! SBI-কে তোপ দেগে নির্বাচন কমিশনে আবেদন প্রাক্তন আমলাদের