লোকসভা নির্বাচনের লড়াই ব্রিগেডের ময়দান থেকে শুরু করার দিনই একসঙ্গে ৪২ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের। মঞ্চে প্রথম কথা বলতে গিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন ঘোষিত ৪২ প্রার্থীকে নিয়ে ব়্যাম্পে হাঁটবেন তিনি। সেই মতো একমাত্র ঘাটালের প্রার্থী দেব ছাড়া নতুন ও পুরোনো সব প্রার্থীকে নিয়েই হাঁটেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেডের সেই ঐতিহাসিক ব়্যাম্পে হাঁটার সুযোগ হল না টলিউডের দুই নায়িকা মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহানের। প্রত্যাশা মতোই প্রার্থী তালিকায় তাঁদের নাম না থাকায় সেই সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হলেন দুই নায়িকা।

২০১৯ সালে প্রথমবার লোকসভার টিকিট পেয়ে জয়ী হন দুই জনপ্রিয় তারকা। প্রথমদিন সংসদে গিয়ে সেই ছবি পোস্টও করেন তাঁরা। গত পাঁচ বছরে কাজের নিরিখে অনেকটাই তৃণমূল পিছিয়ে পড়েছে দুই তারকা সাংসদের উদ্যোগের অভাবে।
অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে নিজের কেন্দ্রে সারাবছরই নানা অনুষ্ঠানে দেখা যায়। এমনকি ধূপগুড়ি বিধানসভা নির্বাচনে ২০২৩ সালেও প্রচারে দেখা যায় মিমি চক্রবর্তীকে। তবে সম্প্রতি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। দলের সম্মতিতেই তিনি পদত্যাগ করেন এবং লোকসভা ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আবার নুসরতের ক্ষেত্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রার্থী না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এমনিতেই বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে নুসরতকে নিয়ে অভিযোগ ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। সন্দেশখালির ঘটনার পর সেই ক্ষোভ বেড়ে যায়। এমনকি তাঁর জীবনযাপনের রীতি নিয়েও আগে থেকে দলের অন্দরে অভিযোগ ছিল। সেই মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই শেষ পর্যন্ত সরিয়ে দেওয়া হল নুসরত জাহানকে।
