রাজ্যের ৪২টি আসন নিয়ে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দুই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য নেতৃত্বকে দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে আসন রফা চূড়ান্ত করতে বলেছে। পাশাপাশি একুশের বিধানসভা ভোটের মতই লোকসভাতেও আইএসএফ-কে নিয়ে জোট গড়তে চায় বাম-কংগ্রেস।

তবে এ ই জোটে জট পাকিয়েছে আইএসএফ! সূত্রের খবর, ১২টি আসন দাবি করা হয়েছে নওশাদ সিদ্দিকির দলের তরফে। তার মধ্যে রয়েছে যাদবপুরের মতো হাইভোল্টেজ আসন। যেখানে নওশাদ নিজে প্রার্থী হতে চান বলে আলিমুদ্দিনকে জানিয়ে দিয়েছেন। এই কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে ভাঙ্গড় বিধানসভা। যেখানকার জনপ্রিয় বিধায়ক নওশাদ। কিন্তু সিপিএম কোনও মতেই যাদবপুর আসন ছাড়তে নারাজ। ফলে নওশাদকে নিয়ে বেজায় বিড়ম্বনায় পড়েছে সিপিএম।

যাদবপুর লোকসভা একসময় লাল দুর্গ ছিল। এই কেন্দ্র থেকেই জিতেছিলেন সিপিএমের হেভিওয়েট প্রার্থীরা। এই তালিকায় ছিলেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, মালিনী ভট্টাচার্য ও সুজন চক্রবর্তীর নেতা। এবার যাদবপুরে ছাত্র নেতা সৃজন ভট্টাচার্যর কথা ভেবে রেখেছে সিপিএম। তাই কোনওভাবেই যাদবপুরে আইএসএফ-এর সঙ্গে সমঝোতা করতে নারাজ সিপিএম। নওশাদ যদি ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়াতে চান, তাঁকে ওই কেন্দ্রে সর্বশক্তি দিয়ে সমর্থন করবে বামেরা। কিন্তু নওশাদ বুঝে গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়ালে হার তাঁর সঙ্গী হবে।

আরও পড়ুন- লকেট-জগন্নাথ-সুভাষদের পর প্রিয়া, প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বিজেপির অন্দরে!
