স্কুল সার্ভিস কমিশনে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তা প্রমাণিত হলে অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের কী পরিণতি হবে? দু’টি বিকল্পের কথা জানিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ এ বিষয়ে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন, দুর্নীতি প্রমাণিত হলে বাতিল করা হতে পারে সম্পূর্ণ নিয়োগও।

এসএসসি মামলার শুনানি চলছে হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চে। বিচারপতি বসাকের পর্যবেক্ষণ, যদি সবটা অবৈধ বা বেআইনি হয় তা হলে যা পরিণতি হওয়ার সেটাই হবে। যদি দেখা যায় সত্যিই দুর্নীতি হয়েছে, তা হলে আমাদের কাছে দু’টি বিকল্প রয়েছে। প্রথমত, গোটা নিয়োগ বাতিল করে দেওয়া। দ্বিতীয়ত, নিয়োগের অংশবিশেষ বাতিল করা। তবে এখনও অনেক কিছু খতিয়ে দেখা বাকি আছে বলে জানান বিচারপতি।

বৃহস্পতিবারের শুনানিতে এসএসসির সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়নের ইঙ্গিত দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়নের ভাবনা বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চের।এদিন প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুনর্মূল্যায়ন করার নির্দেশ দিতে পারে উচ্চ আদালত।স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে আদালত জানতে চায়, পুনর্মূল্যায়নের সব উপকরণ তাদের রয়েছে কি না? এসএসসি জানায়, তাদের কাছে কোনও উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট নেই। তবে আদালত নির্দেশ দিলে পুনর্মূল্যায়ন করে নতুন প্যানেল প্রকাশ করা সম্ভব।

সিবিআইয়ের দেওয়া ওএমআর শিট, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ইন্টারভিউয়ের নম্বরের ভিত্তিতে পুনর্মূল্যায়ন করা যেতে পারে। তাদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি বসাকের প্রশ্ন, সিবিআইয়ের দেওয়া ওএমআর শিটের উপর কি আপনারা আস্থা বা বিশ্বাস রাখছেন? উত্তরে এসএসসি জানায়, এ নিয়ে কিছু বলতে পারব না তারা। কারণ, এই ওএমআর শিটগুলি কমিশনের দফতর থেকে উদ্ধার হয়নি। আদালতের নির্দেশে সিবিআই সেগুলি হস্তান্তর করেছিল।এসএসসির অবস্থান সম্পর্কে বিচারপতি বসাকের মন্তব্য, যদি এসএসসি ওই ওএমআর নিয়ে নিশ্চিত হতে না পারে, তবে কিসের ভিত্তিতে পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দেবে আদালত? শুক্রবার ফের এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
