মাত্র ১৫ ঘণ্টার নোটিশে খেজুরিতে দ্বিগুণ সভা করে শুভেন্দুকে ধুয়ে দিলেন কুণালরা

যে মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) চোট নিয়ে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি ও ভাষা প্রয়োগ করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, মাত্র ঘণ্টার নোটিশে তার দ্বিগুণ মানুষ জড়ো করে প্রতিবাদ সভায় তৃণমূল (TMC) দেখিয়ে দিল পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ কাদের পাশে আছেন। শনিবার খেজুরির মাটি থেকে শুভেন্দুকে ধুয়ে দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

শুক্রবার শিষ্টাচারের সব সীমানা পার করে মুখ্যমন্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে কটূক্তি করেন শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)। মাত্র ১৫ ঘণ্টা নোটিশ দ্বিগুণ সভা করে কুণাল ঘোষ বলেন, এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। যেখানে তাদের নেতা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা করছেন, সেখানে গদ্দার কুরুচিকর ভাষা ব্যবহার করে দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে অসম্মান করছে। সভার আগে এক প্রতিবাদ মিছিলও করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। সভা থেকে মিছিল সবেতেই উপচে পড়ে ভিড়।

শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে কুণাল (Kunal Ghosh) বলেন, শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিষ্টাচার কোনওটাই নেই বিজেপি ও তার নেতাদের। তাঁরা মহিলাদের সম্মান করেন না তা ফের প্রমাণিত হল। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার প্রার্থী উত্তম বারিক। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, জেলার দুটি আসনেই তৃণমূল জিতবে। কাঁথিও জিতবে, তমলুকও জিতবে। এই বিজেপিকে একটিও ভোট দেবেন না। ওরা সিএএ আনছে। ভেদাভেদ তৈরি করতে চায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, আপনারা ভয় পাবেন না। কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল, ডিজেলের দাম বাড়াচ্ছে, আপনাদের খরচ বাড়াচ্ছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো একের পর জনমুখী প্রকল্প নিয়ে আপনাদের পাশে রয়েছে। কেন্দ্র আবাসের টাকা, একশো দিনের টাকা আটকে রেখেছে। কিন্তু গরিব মানুষের কথা ভেবে রাজ্য সরকার সেই টাকা তাঁদের দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। এটাই দুটো দলের তফাত।

প্রাক-নির্বাচনী সমীক্ষাকেও এদিন তীব্র কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। বলেন, সমীক্ষায় বিশ্বাস করবেন না। সব সমীক্ষা ভুল প্রমাণিত হবে। আমাদের টার্গেট ৪২। লোকসভা ভোটে তৃণমূল ৩০ থেকে ৩৫ আসন নিশ্চিতভাবে পাবে। বাম, কংগ্রেস শূন্য পাবে। আর বিজেপিকে কীভাবে দুটি থেকে চারটি আসনে বেঁধে রাখা যায়, তা দেখতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীরা প্রচারে নেমে পড়েছেন। কারণ, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে ভোট দেবেন।