Sunday, November 9, 2025

বিজেপিকে সুবিধা দিতেই বাংলায় ৭ দফায় ভোট! ক্ষো.ভ তৃণমূলের

Date:

লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। যেখানে প্রায় দেড় মাস ধরে সাত দফায় ভোট হবে বাংলায়। চাঁদি ফাটা রোদ আর প্রবল দাবদাহের মধ্যে ৭ দফায় ভোট! শনিবার নির্বাচন কমিশন ভোটের এই নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ল তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই বাংলার ভোটের জন্য এমন সূচি বানিয়েছে কমিশন। তথ্য তুলে তৃণমূল দেখায়, যেখানে দেশের অনেক বড় বড় রাজ্যে ভোট হবে এক কিংবা দু’দফায়, সেখানে বাংলার প্রতি কমিশনের এমন আচরণ কেন?

এদিন তৃণমূলের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও দলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ঋতব্রত ব্যানার্জি। তাঁরা বলেন, “আমরা বার বার বলেছিলাম পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই নির্বাচনের একটি বা দু’টি দফায় হোক। কিন্তু দেখলাম আগের মতোই ৭ দফায় নির্বাচন ঘোষণা করা হল পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে। যেখানে দেশেরই অনের বড় বড় রাজ্যে এক বা দু’ দফায় ভোট মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

ঋতব্রত একটি তথ্য তুলে ধরেন। যেখানে বাংলার থেকে লোকসভার আসন সংখ্যা মাত্র তিনটি কম তামিলনাড়ুতে (৩৯)। সেখানে এক দফাতেই ভোট ঘোষণা করেছে কমিশন। আবার ২৫ টি আসনের অন্ধ্রপ্রদেশ, ২৬ আসনের গুজরাতেও ভোট হবে এক দফায়। ২৮টি আসনের কর্নাটক এবং ২৫টি লোকসভা আসনের রাজস্থানে দু’দফায় ভোট হবে বলে শনিবার জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আবার বাংলার থেকে আসন সংখ্যা বেশি ৪৮ আসনের মহারাষ্ট্রেও ভোট হবে পাঁচ দফায়। অথচ ৪২ আসনের বাংলায় সাত দফায় ভোট।

চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘২০১৯ সালেও সাত দফায় ভোট হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। ২০২১ সালের বিধানসভায় ভোট হয়েছিল আট দফায়। কিন্তু সেবার বলা হয়েছিল, কোভিডের জন্য দফা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বার তো কোভিড নেই। এ বার তা হলে কী হয়েছে? এ বার কেন সাত দফায় ভোট করানো হল?’’

তৃণমূলের আরও দাবি, “এত দফায় ভোট হলে ভোটার সংখ্যা কমে যায়। ভোট কম পড়ে। এর আগেও ২০১৯ সালে সাত দফায় ভোট হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। সে বারও দেখা গিয়েছিল ভোটার সংখ্যা কমেছে। তারও আগে ২০১৪ সালে ৯ দফায় ভোট হয় বাংলায়। এতে ভোটারদের অসুবিধা হয় আর সুবিধা পায় অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষমতাবান রাজনৈতিক দলগুলি। অর্থবান দলগুলি তাদের টাকা কাজে লাগিয়ে ভোটের ফল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাদের পূর্ণ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। অন্য দিতে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল রাজনৈতিক দল গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পিছিয়ে পড়ে।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে কটাক্ষ করে চন্দ্রিমা বলেন, “ম্যাচ খেলতে নামবে যে ক্রিকেট দল তাদেরই ক্যাপ্টেন ঠিক করে দিচ্ছেন আম্পায়ার কে হবে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখেই বলছি, একে কি পক্ষপাতহীন নির্বাচন বলা যায়?”

আরও পড়ুন- বিজেপি ছাড়লেন অজয় প্রতাপ সিং, এবার কী ‘হাত’ ধরার পথে

 

 

Related articles

বেঁচে থাকলে রবীন্দ্রনাথ-নজরুলকে অনুপ্রবেশকারী বলে দাগিয়ে দিত! পুরুলিয়ার সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ দেবাংশুর

ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ, নজরুল বেঁচে নেই। নইলে বিজেপি রবীন্দ্রনাথকে রোহিঙ্গা ও নজরুলকে অনুপ্রবেশকারী বলে দাগিয়ে দিত। শনিবার পুরুলিয়া শহরের...

টাকা পেয়েও কাজে দেরি! ‘বাংলার বাড়ি’ নিয়ে কড়া প্রশাসন, রিপোর্ট চাইল নবান্ন

প্রথম দফায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাওয়ার পরও বহু উপভোক্তা এখনও ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের কাজ শুরু করেননি।...

ঝুলনের চোখে বাংলার সেরা ক্রিকেটার রিচা, মহিলা ক্রিকেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সৌরভ

বাংলার বিশ্বকাপ জয়ী একমাত্র ক্রিকেট তারকা রিচা ঘোষের (Richa Ghosh) সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন...

সৌরভ ছাড়া অন্য কারও ICC সভাপতি থাকার কথা নয়: বললেন ‘ঠোঁটকাটা’ মমতা

ছিল বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার রিচা ঘোষের (Richa Ghosh) সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। শনিবার ইডেনে সেই অনুষ্ঠানে বোমা ফাটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের...
Exit mobile version