বিএসকে-তে জমি, বাড়ির নথিভুক্তি বাড়ছে, ৪মাসে ৩কোটি টাকা রাজস্ব আদায়

বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের (বিএসকে) মাধ্যমেও জমি, বাড়ি-সহ সম্পত্তি নথিভুক্তির (রেজিস্ট্রেশন) পরিষেবা চালু করেছে রাজ্য। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, তাতে আগ্রহ বাড়ছে ক্রেতাদের। এর ফলে রাজ্যের আয় বৃদ্ধির পথও তৈরি হচ্ছে।যে কোনও সম্পত্তি কেনাবেচার পরে সেটির নথিভুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক। এ জন্য সম্পত্তির মূল্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ অর্থ ক্রেতাকে জমা দিতে হয় সরকারের কাছে। ফলে এটি সরকারের আয়েরও অন্যতম পথ।

প্রশাসনের আধিকারিকদের একাংশের দাবি, প্রত্যন্ত এলাকায় এ জন্য রেজিস্ট্রেশন কার্যালয় পর্যন্ত যেতে অনেকেই ততটা আগ্রহী হন না। দালালদের দৌরাত্ম্য থাকায় অতিরিক্ত খরচের আশঙ্কাও থাকে ক্রেতামহলে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে অন্যান্য পরিষেবার সঙ্গে রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন ও স্ট্যাম্প রেভিনিউ বিভাগ যুক্ত হওয়ায় সেখানে আবদেনপত্র জমা করা, ‘অ্যাসেসমেন্ট স্লিপ’ বার করে স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন খরচ জমা দেওয়ার পরিষেবাও মিলছে। সেখানে দালালেরা না থাকায় অতিরিক্ত খরচের বোঝাও চাপছে না উপভোক্তার।

জানুয়ারি মাস থেকে বিএসকে-র মাধ্যমে প্রায় ১২ হাজার সম্পত্তির নথিভুক্তি হয়েছে। এই বাবদ ৩ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে অর্থ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে জমি সম্পত্তি সংক্রান্ত আরেকটি পরিষেবা বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে যুক্ত করা হচ্ছে। এখন ওই সব কেন্দ্র থেকেই  পুরনো দলিলের তথ্য খুঁজতে পারবেন।

নতুন ব্যবস্থায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে অন্যান্য পরিষেবার সঙ্গে রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন ও স্ট্যাম্প রেভিনিউ বিভাগ যুক্ত হওয়ায় সেখানে আবদেনপত্র জমা করা, ‘অ্যাসেসমেন্ট স্লিপ’ বার করে স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন খরচ জমা দেওয়ার পরিষেবাও মিলছে। দালালদের হাতে হেনস্থা হওয়ার আশঙ্কাও কমেছে।

 

Previous articleরাজনৈতিক দলগুলির ইলেক্টোরাল বন্ডের তথ্য প্রকাশিত, জানালো নির্বাচন কমিশন
Next articleঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিন বদল! ৪ জুন নয় অরুণাচল-সিকিম বিধানসভার ভোটগণনা