Thursday, August 21, 2025

লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) কারণে সমস্যায় পড়তে চলেছেন পড়ুয়ারা। এমনিতেই ভোট ঘোষণার আগেই যেভাবে রাজ্যে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী (CRPF) পাঠিয়েছে দিল্লির সরকার তাতে ইতিমধ্যেই সংকটে পঠন পাঠন। এবার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর দেখা গেল পরীক্ষার মাঝেই চলবে নির্বাচন। মাথায় হাত শিক্ষাবিদ- পড়ুয়া- অভিভাবকদের। ১৯ এপ্রিল থেকে ভোট শুরু আর ২৮ এপ্রিল রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষা (JEE)। আগেরবারের থেকে বেড়েছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। একদিকে স্কুল কলেজে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার জেরে কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বড় বড় স্কুলের ক্লাস বাতিল করতে হয়েছে, অন্যদিকে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে, যে কারণে ভোটের আগে পরে বিশেষ নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকছে। এই অবস্থায় পরীক্ষা এবং ভোট যে একে অন্যের মুখোমুখি হয়ে সমস্যা বাড়াবে তা বেশ আঁচ করা যাচ্ছে।

বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)তরফে বারবার এক দফা ভোট করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের কথা মেনে নির্বাচন কমিশন (National Election Commission) পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে। সাত দফা নির্বাচন চলবে প্রায় দেড় মাস ধরে। ইতিমধ্যেই ঘাসফুলের তরফে এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করা হয়েছে। রাজ্যের ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। প্রথম দফায় ১৫০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী আসায় স্কুল কলেজের পড়াশোনা বন্ধ করতে হয়েছে। বাকি জওয়ানরা এলে খুব স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের থাকার জায়গা হবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন। এই পরিস্থিতিতে ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৯২ জনের জয়েন্ট পরীক্ষা নেওয়া সহজ কথা নয়। সূত্রের খবর সোমবার নবান্ন ও বিকাশ ভবনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে কলেজ অধ্যক্ষ প্রত্যেককেই বলছেন শুধু ১৯ এপ্রিল ভোটের প্রথম দিন থেকে ৪ জুন ভোট ঘোষণা পর্যন্ত ধরলে হবে না, শনিবার অর্থাৎ নির্বাচনের দিন ঘোষণা থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সময়টাকেও ধরতে হবে। তাহলে সব মিলিয়ে এই ভোট প্রক্রিয়া, তার যাবতীয় কাজকর্ম চলবে প্রায় ৮০ দিন ধরে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার জন্য স্কুল কলেজের রিকুইজিশন আসতে শুরু করেছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সূচি অনুযায়ী বিভিন্ন স্কুলে পঞ্চম থেকে দশমের প্রথম সমিতির পরীক্ষা হবে ১ থেকে ৯ এপ্রিল। প্রায় ৭৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দেবেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী স্কুলে এসে গেলে কী ভাবে পরীক্ষা হবে তা নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা। সবমিলিয়ে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া যে বাংলার পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনকে ভয়ংকর সংকটের মধ্যে ফেলে দিল তা বলাই বাহুল্য।

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...
Exit mobile version