বালুরঘাটে নির্বাচনী প্রচারে ঝো.ড়ো ব্যাটিং অভিষেকের, জনতার উপচে পড়া উচ্ছ্বাস

সুকান্ত মজুমদারের গড়ে নির্বাচনী প্রচারে ঝোড়ো ব্যাটিং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। অভিষেকের সভা ঘিরে তেভাগা আন্দোলনের পীঠস্থান দক্ষিণ দিনাজপুরে উন্মাদনা তুঙ্গে। সোমবার বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিপ্লব মিত্র (Biplab Mitra) এবং রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) হয়ে গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে সভা করেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের এই সভায় দুই কেন্দ্রের প্রার্থী ছাড়া উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল, উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা অর্পিতা ঘোষ, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গৌতম দাস, দুই জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামনি বিহা সহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্ব।

এদিন গঙ্গারামপুরে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার বঞ্চনার অভিযোগ তুলে একের পর এক তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যাকে ইচ্ছে ভোট দিন, নিজের অধিকার সামনে রেখে ভোট দিন। বিজেপির রাজ্য সভাপতির নির্বাচনী কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন ৩ বছরে কত টাকা বাংলায় আবাস যোজনায় এবং ১০০ দিনের কাজের কত টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরেই খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ১০ পয়সা বরাদ্দ হলেও তিনি আর রাজনীতির আঙিনায় পা রাখবেন না। পাশাপাশি এই বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশেরও দাবী তোলেন।

বিজেপির বিরুদ্ধে অলআউট মেজাজে থাকা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সভা মঞ্চ থেকে বিজেপিকে শিকড় সমেত উপড়ে ফেলার হুঙ্কার দেওয়ার পর গোটা সভাস্থল উপস্থিত মানুষদের মুহুর্মুহ স্লোগানে কার্যত কাপতে থাকে। দলীয় কর্মীদের একেক জনকে ২০ জন মানুষকে বোঝানোর জন্যও নির্দেশ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর জনসভা ঘিরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের উৎসাহের পারদ চড়ছিল চড়চড়িয়ে। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সভার ফলে বিরোধীদের প্রচারে পিছনে ফেলে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারে অনেকটাই এগিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস এমনটাই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন- দায় নেয়নি বিগত বাম সরকার! গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে সিপিএমের স.মালোচনার মোক্ষম জ.বাব শোভনের

Previous articleদায় নেয়নি বিগত বাম সরকার! গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে সিপিএমের স.মালোচনার মোক্ষম জ.বাব শোভনের
Next articleস্বাস্থ্য প্রকল্পে অনলাইনে নাম নথিভুক্তকরণের সময়সীমা বাড়াল রাজ্য