নীতীশের উপর চাপ বাড়াতে ‘মোক্ষম চাল’! কংগ্ৰেসের হাত ধরে বিজেপিকে কোণঠাসার চেষ্টা পাপ্পুর

বিহারে (Bihar) পাল্টি খেয়ে আগেই বিজেপির হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। আর কুর্সিতে বসেই বিরোধীদের উপর নানা অছিলায় চাপ বাড়াচ্ছে বিহারের জোট সরকার। সে লালু প্রসাদ (Lalu Prasad Yadav) যাদবই হন বা পুত্র তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav) একাধিকবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জুজু দেখিয়ে বিহারকে নিজেদের দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির (BJP)। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যেই বিহারে আসন রফা চূড়ান্ত করেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু আসন সমঝোতা হলেও এবার পাল্টা গেরুয়া শিবিরের উপর চাপ বাড়াল বিরোধী জোট। এবার জন অধিকার পার্টির প্রধান পাপ্পু যাদবের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আসন্ন লোকসভায় নীতীশ সরকারকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে মরিয়া মহাজোট। আর সেই মতোই বুধবার বেলা গড়াতেই কংগ্ৰেসের হাত ধরে বিজেপিকে টেক্কা দিতে মহাজোটে মিলে গেল জন অধিকার পার্টি। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পাপ্পুর সাফ জবাব রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কাজে অনুপ্রাণিত হয়েই তাঁর এমন সিদ্ধান্ত।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ এবং তাঁর পুত্র তেজস্বীর সঙ্গে বৈঠক করেন পাপ্পু যাদব। সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের আগেই এনডিএ শিবিরকে মোক্ষম জবাব দিতে এবার রাজ্যের প্রাক্তন সাংসদকেই জোটের দিকে টানতে উদ্যোগী হন লালু, তেজস্বী। এমনকি, কোন আসন থেকে তিনি প্রার্থী হবেন, সে বিষয়েও আলোচনা হয় মঙ্গলবারের বৈঠকে। আর তারপরই বুধবার বেলা গড়াতেই কংগ্ৰেসের সঙ্গে মিশে বিজেপিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে প্রস্তুত জন অধিকার পার্টির প্রধান।

তবে পাপ্পু সাফ জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য যে কোনও মূল্যে বিজেপিকে আটকানো। বিজেপির আর্দশের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।’’ ২০১৪ সালে মাধেপুরা লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়ে সাংসদ হয়েছিলেন পাপ্পু। শোনা যাচ্ছে, এবারও সেই আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন পাপ্পু। অন্যদিকে লোকসভা ভোটের মুখে এনডিএ শিবিরের চিন্তা বাড়াচ্ছেন রামবিলাস পাসোয়ানের ভাই পশুপতি পারসেও। আসন্ন নির্বাচনে বিজেপি তাঁর দল রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টিকে কোনও আসন না ছাড়ায় রীতিমতো ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, কংগ্রেস এবং লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডির সমর্থনে হাজিপুর কেন্দ্র থেকেই ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন তিনি।

Previous articleনির্জন দ্বীপে স্বেচ্ছাবন্দি, মোহ কাটলেও  ব্যর্থ ফেরার চেষ্টা !
Next articleদিনহাটায় বিজেপির এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে তুলকালাম, বনধ প্রত্যাহার তৃণমূলের