নির্বাচন কমিশনকে থোড়াই কেয়ার, হিন্দুত্বের ভাসনই ভরসা মোদির

উন্নয়নের বার্তা না থাকায় ধর্মীয় প্রচারকে হাতিয়ার করেই যে তৃতীয় দফা পার করতে হবে বিজেপিকে সে কথা বুঝেই হয়তো ফের ধর্মীয় তাস খেলা শুরু নরেন্দ্র মোদির

নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি ভেঙে ধর্মীয় বক্তৃতার জন্য বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে। আবার শনিবারই মোদির মুখে সনাতন ধর্মের বার্তা। বিরোধীদের কটাক্ষ করতে সনাতন ধর্মকেই বেছে নিতে হল মোদিকে। কমিশনের নজরদারির পক্ষপাতমূলক আচরণ নিয়ে বিরোধীরা বারাবার যে প্রশ্ন তুলেছে, তাকেই কার্যত সমর্থন করছে প্রধানমন্ত্রীর জমিদারি মনোভাব। বাস্তবে কমিশন ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য নিয়ে বিরোধীদের দায়ের করা অভিযোগ নিয়ে নোটিশ আদৌ যে মোদিকে দেয়নি তার জন্য হয়তো সতর্ক হওয়াও সঙ্গত মনে করছেন না প্রধানমন্ত্রী।

মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদি বিরোধী জোটকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পুত্র উদয়নিধি স্ট্যালিনের ২০২৩ সালের করা মন্তব্য টেনে আনেন। মহারাষ্ট্রে বিরোধীদের যৌথ সভায় ডিএমকে-কে ডেকে মঞ্চে তোলা নিয়ে কটাক্ষ করেন মোদি। তিনি দাবি করেন, “জোট তাঁদের মহারাষ্ট্রে ডাকছে এবং সম্মান জানাচ্ছে যারা সনাতন ধর্মকে ধ্বংস করার কথা বলে।” এমনকি মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কাশ্মীর ইস্যুকেও হাতিয়ার করতে ছাড়েননি মোদি।

তৃতীয় দফা নির্বাচনে দক্ষিণ ভারতে সেভাবে নির্বাচন নেই। উত্তর ভারতের অনেকাংশে নির্বাচন তৃতীয় দফায়। উন্নয়নের বার্তা না থাকায় ধর্মীয় প্রচারকে হাতিয়ার করেই যে তৃতীয় দফা পার করতে হবে বিজেপিকে সে কথা বুঝেই হয়তো ফের ধর্মীয় তাস খেলা শুরু নরেন্দ্র মোদির। ধর্মীয় বিদ্বেষ বক্তব্যের উদাহরণ সহ তুলে ধরলেও কমিশন সেখানে পদক্ষেপ নিতে পারে না। বিজ্ঞপ্তিও তাঁকে না দিয়ে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে সেই বিজ্ঞপ্তি পাঠায় কমিশন। এরপর যত উত্তরের রাজ্যে নির্বাচন বাড়বে তত ধর্মকে হাতিয়ার প্রচারও বাড়বে নরেন্দ্র মোদির।

Previous articleআজ যুবভারতীতে মেগা ম্যাচ, ওড়িশার বিরুদ্ধে ৯০ মিনিটে জয় চাইছেন হাবাস
Next articleমানুষের রুটিরুজির পক্ষে ভোট হওয়া উচিত, সৃজনের প্রচারে সরব বৃন্দা কারাট