গার্ডেনরিচে পাঁচতলা বাড়িটি নজর এড়িয়ে গড়ে উঠেছিল বলে মনে করে না কলকাতা হাইকোর্ট । বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবক্রজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া মত পোষণ করে। প্রধান বিচারপতি বলেন, যে সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আনা হচ্ছে, তাকেই নাকি সরকার ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছে। সেটা কী করে সম্ভব।

এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, আইন থাকলেই হবে না। তাকে কার্যকর করতে হবে।দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদকে অসীম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা যখন স্কুটার বা গা়ড়িতে চেপে কোনও এলাকা পরিদর্শনে যায়, তাদের মারধর করা হয়। পরিকাঠামো না থাকলে তারা কী করবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, ওই নির্মাণ জলাভূমি বুজিয়ে করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। জলাভূমিতে নির্মাণ করতে হলে অনেক গভীরে ভিত করতে হয়। তাতে খরচও প্রচুর।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেছিলেন, বেআইনি প্রোমোটারদের ভালোমতো শিক্ষা দেওয়া দরকার। তার আগের দিন বিচারপতি বলেন, বাড়ি ভাঙা নিয়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেবে না আদালত। ওইদিন তিনি বাড়ি ভাঙা নিয়ে কোনও মামলাও শুনতে চাননি।

এদিনও ঘটনাস্থলে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে উদ্ধারকাজ আর সেভাবে হচ্ছে না। সেই প্রসঙ্গেই প্রধান বিচারপতি বলেন, শুনলাম, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নাকি উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে যদি আর কেউ থেকে থাকে, তাহলে কী হবে। বুধবার মেয়র পুরসভার অফিসার, ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এক ইঞ্জিনিয়ারকে তিনি অপদার্থ বলে কটাক্ষও করেন।বৈঠকে মেয়র ইঞ্জিনিয়ারদের ঠান্ডা ঘরে বসে না থেকে ওয়ার্ডে ঘোরার নির্দেশ দেন। এদিন ১৫ নম্বর বরোর বিল্ডিং বিভাগের এক ইঞ্জিনিয়ারকে লালবাজার তলব করেছে।
