NRC-আতঙ্কে চূড়ান্ত উদ্বেগে চরম সিদ্ধান্ত কলকাতার যুবকের! পরিবারের পাশে অরূপ

লোকসভা ভোটের আগে দেশে CAA লাগু করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে মোদি সরকার। এই CAA-র হাত ধরেই দেশে জারি করা হবে NRC! বৈধ নথি না থাকলে যেতে হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে। এই আতঙ্কে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন কলকাতা ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা। নাগরিক হিসেবে প্রয়োজনীয় সব নথি খুঁজে না পাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরেই চূড়ান্ত উদ্বেগে ভুগছিলেন দেবাশিস সেনগুপ্ত (Debasish Sengupta) নামের ওই যুবক। শেষে বুধবার, সোনারপুরে মামাতো দাদার বাড়ি গিয়ে দেবাশিস গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। চূড়ান্ত আতঙ্কেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মত ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তীর (Arup Chakraborty)। শোকাহত পরিবারের পাশে থেকে সব রকম সাহায্য করছেন তিনি। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল যাচ্ছে দেবাশিসের বাড়ি। দলে রয়েছেন, নাদিমুল হক, শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ ও অরূপ চক্রবর্তী।

দেশজুড়ে CAA- NRC-র নামে দেশে আতঙ্ক তৈরি করেছে মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই বলেছিলেন CAA-র পরেই দেশে লাগু হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই CAA লাগু করে দেওয়ায় আতঙ্কে ভুগছেন অনেকেই। এই মোদি সরকারই যদি আবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে তারা দেশে NRC লাগু করে চূড়ান্ত নিপীড়ণ করা হবে। বৈধ নথির না থাকলে যেতে হতে পারে ডিটেনশন ক্যাম্পে। এই আতঙ্কেই ভুগছিলেন নেতাজিনগর কলোনির বাসিন্দা দেবাশিস। তিনি নিজের রেশন কার্ড, আধার কার্ড, কলেজের শংসাপত্র খুঁজে পাচ্ছিলেন না বলে বারবার নিজের মাসি শোভা রায়ের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তীকে, তাঁর আত্মীয়া জানান, বারবারই দেবাশিস বলতেন, তাঁকে হয়ত দেশ থেকে বিতাড়িত করে দেওয়া হবে। যদিও শোভা জানান, দেবাশিসের জন্ম কলকাতাই চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। এই উদ্বেগ নিয়েই সোনারপুরে মামাতো দাদার বাড়ি যান ওই যুবক। সেখানে গিয়েও নিজের অস্থিরতা প্রকাশ করেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। এর পর, কাজের জায়গায় না গিয়ে দাদা বাড়িতে একাই থেকে যান দেবাশিস। কাজ থেকে ফিরে তাঁর দাদা দেখেন গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন ওই যুবক। বৃদ্ধ বাবা ছাড়া আর কোনও নিকটজন নেই দেবাশিসের।

পুত্রের দেহের জন্য এখন অপেক্ষা করছেন বৃদ্ধ বাবা তপন দাশগুপ্ত। বিজেপি সরকারের আতঙ্কের কারণে যে পরিবারে এই চরম বিপর্যয় নেমে এলো, সেই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। পরিবারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। NRC-র আতঙ্কেই দেবাশিসের এই পরিণতি বলে মনে করছেন অরূপ চক্রবর্তীও।



Previous articleচিকিৎসার নামে অত্যাচার, পুত্রবধূর হাতে শাশুড়ি- নিগ্রহের ভিডিও ভাইরাল
Next articleগার্ডেনরিচে পাঁচতলা বাড়িটি নজর এড়িয়ে উঠেছিল বলে মানছে না হাই কোর্ট