পতঞ্জলির ‘বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন’ মামলায় রামদেবকে আগেই তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এমনকী, ভর্ৎসনা করে অবিলম্বে সব বিজ্ঞাপন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।শেষ পর্যন্ত বিপাকে পড়ে সংস্থার বিজ্ঞাপনে্র জন্য সুপ্রিম কোর্টে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চাইলেন পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা যোগগুরুর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণ। মঙ্গলবার রামদেব-বালকৃষ্ণকে শীর্ষ আদালতের তলবের পরে বুধবারই হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চাওয়া হল।

এর আগে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে একাধিকবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তোপের মুখে পড়েছে পতঞ্জলি। গত নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ভুয়ো তথ্য দেওয়া বিজ্ঞাপন তৈরি করলে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। পতঞ্জলির এই বিজ্ঞাপন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তোপে পড়েছে কেন্দ্রও।দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সরকার চোখ বন্ধ করে বসে আছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে।

যদিও পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশের উত্তর দেয়নি রামদেবের সংস্থা। এর পরেই ক্ষুব্ধ আদালত যোগগুরু এবং তাঁর সহযোগী সংস্থার এমডি বালকৃষ্ণকে ২ এপ্রিল আদালতে হাজিরা দিতে বলেছিল। এইসঙ্গে যাবতীয় বিষয় জবাবদিহি চেয়েছিল। এই চাপেই কাজ হল। বুধবারই হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চাইলেন রামদেব-সহযোগী।হলফনামায় বালকৃষ্ণ লিখেছেন, সংস্থার বিজ্ঞাপনে আপত্তিকর বাক্য থাকার জন্য তিনি দুঃখিত।

পতঞ্জলির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। শীর্ষ আদালতে আইএমএর অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা এবং চিকিৎসককে অসম্মান করা হয়েছে। বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে। আরও অভিযোগ করা হয়েছিল, কোভিড প্রতিরোধী বলে করোনিল কিট বিক্রি করে আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে পতঞ্জলি। পতঞ্জলির যাবতীয় ব্যাবসা চালানো হচ্ছে মিথ্যে তথা বিভ্রান্তিকর দাবি করে। এরপরই সব বিজ্ঞাপন বন্ধ করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
