উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে বেলেঘাটা বিধানসভার কর্মিসভায় তৃণমূলের নিশানায় বিজেপি। ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পরেশ পাল, কুণাল ঘোষ, জীবন সাহা, অয়ন চক্রবর্তী, ইকবাল আমেদ, চিনু বিশ্বাস, আশুতোষ দাস, অলোকানন্দা দাস, শচীন সিং, পাপিয়া ঘোষসহ কাউন্সিলররা। ছিল শ্রেয়া পান্ডেও।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার মানুষের সঙ্গে থাকে। ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয় না মোদি সরকার।লাগাতার আন্দোলন তবু টাকা দেয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের কোষাগার থেকে দিয়ে দিলেন। বাংলার রাজপথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেককে নিয়ে লড়াই করছেন। এদিন কুণাল আহবান জানান, এমনভাবে ভোট করুন যাতে পরের সরকারের নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা থাকে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত চার বছরে ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স বাবদ নিয়ে গেছে দিল্লি। অথচ আমাদের বকেয়া দেড় লক্ষ কোটি টাকা দেওয়ার নাম নেই।
কুণালের কটাক্ষ, বাংলার ভোটার তালিকাটা বদলাবে কী করে? বাংলার মানুষ তো ভোট দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এখনও বিজেপি প্রার্থী ঠিক করে উঠতে পারেনি। আসলে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কংগ্রেস-সিপিএমকে একটা ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে দেওয়া। রাজ্য কংগ্রেস বিজেপির দালাল।
সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা বিলগ্নীকরণের বিপক্ষে নই। কিন্তু লাভজনক সংস্থাকে বেসরকারি হাতে দেওয়াকে আমরা মানি না , আর বিজেপি সেটাই করছে। এরা লাভজনক শিল্প সংস্থা আদানি আম্বানিদের দিয়ে দিচ্ছে। রেলটাকে পুরোপুরি বেসরকারিকরণ করার চেষ্টা করছে। এদের দৌলতে কৃষকরাও বিপদের সম্মুখে।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যের বকেয়া আদায়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। ১০০ দিনের কাজের টাকা দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাসও দেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। বিজেপি-কংগ্রেস যে ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তা রুচিহীন। বেলেঘাটার মানুষ ভোলেনি সিপিএমের অত্যাচার। এর জবাব ব্যালট বাক্সে দিতে হবে।