বিজেপি রাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থা, ক্রমাগত বাংলা ভাষার অপমানে গর্জে উঠেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলা ভাষা ও বাঙালির অপমানের প্রতিবাদে কলকাতার মেয়ো রোডে টানা প্রায় পাঁচ মাসের ধর্না কর্মসূচি শুরু করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার সেই মঞ্চে হাজির অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলা ভাষা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এ ভাষা আমাদের গর্বের। বিশ্বজুড়ে বাঙালিরা থাকেন, আমরা গর্বিত আমরা বাঙালি। নোবেলজয়ী থেকে শুরু করে ক্রীড়া কর্পোরেট জগত সর্বত্রই জ্বলজ্বল করছে বাঙালিদের নাম ও কৃতিত্ব। বাংলা ভাষাকে যেন অন্য কোনও কিছুর তকমা না দেওয়া হয়। আমি বাংলা ভাষায় সিনেমা করি আর তাঁর জন্য আমি গর্বিত।’
এদিন গান্ধীমূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেয় তৃণমূলের ‘জয় হিন্দ বাহিনী’। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা (Sashi Panja),বিধায়ক দেবাশিস কুমার (Debasish Kumar),তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh),সব্যসাচী দত্ত, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদার, অরূপ চক্রবর্তীরা। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ভাষা আন্দোলন’ সংঘটিত করার ডাক দিয়েছিলেন। সেইমতো চলছে ঘাসফুলের কর্মসূচি। এদিন জয় হিন্দ বাহিনীর ধর্নামঞ্চ থেকে শোনা যায় বিজেপি বিরোধী স্লোগান। বলা হয়, ‘মোদি-শাহ বাংলার যেখানে পা দেবে সেখান থেকেই তৃণমূলের বিধায়ক হবে ২০২৬-এ। ওরা যত ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করবে তত ভোট বাড়বে তৃণমূলের।’ ভাষাসন্ত্রাস এবং এসআইআরের বিরুদ্ধে যেভাবে সংসদের ভিতরে এবং বাইরে তৃণমূলের সাংসদেরা লড়াই করছেন নেতৃত্ব দিচ্ছেন সে-কথাও উঠে আসে বক্তাদের কথায়। সকলেই কড়া সমালোচনা করেছেন গায়ের জোরে আনা সংবিধান সংশোধনী বিলের। যেভাবে দেশে বিরোধীদের শূন্য করতে জেলে ভর্তির ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করেছে বিজেপির তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিকেরা।
–
–
–
–
–
–
–
–