টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। বিচারপতি পদে ইস্তফার পরেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguli) মন্তব্য করেছিলেন, বিজেপি চাইলে তিনি ডায়মন্ড হারবারে ভোটে দাঁড়িয়ে অভিষেককে পরাজিত করে দেখাবেন৷ এমনকী অভিষেক দুই দুষ্কৃতীকে ব্যবহার করে ভোটে জেতেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি৷ শুক্রবার ওই সাক্ষাৎকার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷ বললেন, “বলছেন তো দুটো দুষ্কৃতীকে কাজে লাগিয়ে নাকি আমি ভোটে জিতি৷ আপনি আমাকে গ্রেফতার করান৷ একদিনও আমি ডায়মন্ড হারবারে পা রাখব না৷ আমার বিরুদ্ধে আপনি দাঁড়ান৷ তার পর মানুষের দরবারে বিচার হোক৷”

অভিজিতের কটাক্ষের পাল্টা মোক্ষম খোঁচা দিয়েছেন অভিষেক৷ বলেন, “যিনি এই কথা বলেছেন, তাঁর বয়স আমার বাবার থেকেও বেশি৷ গুরুজন। তাঁর কথার জবাব আর কী দেব?’

চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে জটের জন্য সরাসরি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেই (Abhijit Ganguli) দায়ী করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ৷ তাঁর কথায়, “যে বিচারপতি এই মামলা শুনছিলেন তাঁর ভূমিকা গত দশ দিনে সবার সামনে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে৷ সরকার যদি নতুন পদ তৈরি করে চাকরি দিতে চায়, তাহলে বলা হচ্ছে সিবিআই নির্দেশ দেবো৷ আবার যাঁরা চাকরি করছে তাঁদের চাকরি বাতিল করতে গেলেও মামলা করা হচ্ছে৷ এমন যদি বিচার ব্যবস্থার অবস্থা হয়, তাহলে কী হবে? এরা চায় না মানুষ চাকরি পাক৷ এরা নিজেরা প্রচারে থাকতে চান! সরকার তো আজকে বললে কালকে চাকরি দিতে প্রস্তুত৷ রাজ্য সরকার কেন চাকরি দিতে চেয়ে আবেদন করল, তার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে৷ এরা জানে সবাই চাকরি পেয়ে গেলে পরের দিন থেকে এদের আর কোনও দাম থাকবে না৷ এরা চায় অনন্তকাল মামলা চলতে থাকুক৷ যিনি এই সব নির্দেশ দিচ্ছিলেন, তাঁর অবস্থান তিনি স্পষ্ট করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা বুঝতে পেরেছেন, যাঁর দিকে বিচারের আশায় তাকিয়ে ছিলেন সবাই তিনি গলা টিপে অবিচার করেছেন৷”
