গ্রেফতারির কারণ কী? সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেলো ইডি!

রায়ের বিরোধিতা করে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে কেন্দ্র। এবার সেটাও খারিজ হয়ে গেল।

গ্রেফতারি ইস্যু (Arrest Issue) নিয়ে কড়া দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court), বড় ধাক্কা খেলো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) এবং কেন্দ্রীয় সরকার। খারিজ কেন্দ্রের রিভিউ পিটিশন। দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধীদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার করছে ইডি-সিবিআই(ED CBI)। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। দুদিন আগেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা নিয়ে উত্তাল রাজধানী। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় (Money Laundering Scam) কাউকে গ্রেফতার করতে গেলে সুস্পষ্ট কারণ তাঁকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। তদন্তের নামে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাউকে জামিন থেকে বঞ্চিত রাখা যায় না।

আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন, যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতারের সময় লিখিতভাবে কারণ জানায় না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা এবং তল্লাশির পর হঠাৎ বলা হয় গ্রেফতার করা হবে। পুরো বিবৃতিটাই যেহেতু মৌখিকভাবে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য যুক্তি প্রতিষ্ঠিত করতে সমস্যায় পড়তে হয় অভিযুক্তকে। ইডির এই প্রবণতার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন পঙ্কজ বনশল নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলার রায়ের সুপ্রিম আদালত জানিয়েছিল, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে কাউকে গ্রেফতার করার সময় ইডি আধিকারিকদের সুস্পষ্ট ভাবে সেই ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট কারণ জানাতে হবে। এরপর রায়ের বিরোধিতা করে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে কেন্দ্র। এবার সেটাও খারিজ হয়ে গেল। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং সঞ্জয় কুমারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানালো, শীর্ষ আদালতের পূর্ববর্তী রায়ে এমন কোনওর ভুল নেই যে তার রিভিউ করার প্রয়োজন হবে। গ্রেফতার করার সময় লিখিত আকারে সেই ব্যাক্তিকে কারণ জানাতেই হবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে।

Previous article‘নিরপেক্ষ বিচার প্রাপ্য’, কেজরির গ্রেফতারিতে উদ্বিগ্ন জার্মানি
Next article‘ভুল করে থাকলে সেটা শুধরে নিতে’, আইপিএল-এর প্রথম ম্যাচে নামার আগে জানালেন শ্রেয়স