‘নিরপেক্ষ বিচার প্রাপ্য’, কেজরির গ্রেফতারিতে উদ্বিগ্ন জার্মানি

যেভাবে অন্য কেউ পেয়ে থাকেন, সেভাবেই কেজরিওয়ালেরও সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ বিচার প্রাপ্য। এর মধ্যে এটাও ধরে নিতে হবে যে তিনি বিচারব্যবস্থার সব রকম পথই বিনা বাধায় অবলম্বন করতে পারেন

হিটলারি শাসন দেখা জার্মানিতেও এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) গ্রেফতারি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ। এই মামলায় বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের মূলনীতিগুলি মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে জার্মানির (Germany) বিদেশমন্ত্রকের তরফে। ভারতের বিজেপি বিরোধী দলগুলির ওপর শাসকের স্বৈরাচারি মনোভাব যে হিটলারের দেশের কূটনৈতিক বিষয় হিসাবেও ভাবিয়েছে, তা জার্মানির উক্তিতেই স্পষ্ট।

জার্মান বিদেশমন্ত্রকের একটি সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়। সেখানেই বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “বিষয়টায় নজর রাখা হয়েছে, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আমাদের অনুমান এবং প্রত্যাশা যে বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের মূল বিষয়গুলি মান বজায় রেখেই পালন করা হবে এই মামলাতেও। যেভাবে অন্য কেউ পেয়ে থাকেন, সেভাবেই কেজরিওয়ালেরও সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ বিচার (fair and impartial trial) প্রাপ্য। এর মধ্যে এটাও ধরে নিতে হবে যে তিনি বিচারব্যবস্থার সব রকম পথই বিনা বাধায় অবলম্বন করতে পারেন”।

জার্মানি সহ পশ্চিমের সব দেশই যে ভারতের লোকসভা নির্বাচন ও সেই সংক্রান্ত সব ধরনের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে তাও স্পষ্ট। সেই সঙ্গে বিরোধীদের বিচার প্রক্রিয়াতেও যে পক্ষপাতিত্বের আশঙ্কা রয়েছে তা জার্মানির বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে অনুমান করা সহজ। সেই সঙ্গে স্বৈরাচারি শাসনের অভিজ্ঞতা থাকা জার্মানির ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর সন্দেহ প্রকাশ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ভারতের বিদেশমন্ত্রক জার্মানির এই ধরনের বিবৃতিতে ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে (internal matters) হস্তক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছে।

Previous articleভোটের আগে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা! এবার মহুয়া মৈত্রের বাড়িতে সিবিআই হানা
Next articleগ্রেফতারির কারণ কী? সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেলো ইডি!