দিল্লিতে I.N.D.I.A. জোটের জনসভায় আমন্ত্রণ মমতাকে, ফিরে যেতে পারেন কোচবিহারে

I.N.D.I.A. জোটের সব শরিকই এই ঘটনায় আপের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে। তীব্র নিন্দা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে তাঁর দিল্লি গিয়ে জোটের জনসভায় যোগ দেওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

ফাইল ছবি

বাড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। মাথায় এখনও ব্যান্ডেজ হয়েছে। তবে সেই অবস্থায় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের প্রচারে ৩১ মার্চ দিল্লিতে I.N.D.I.A. জোটের জনসভায় যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সব ঠিক থাকলে তিনি নিজেই যেতে পারেন দিল্লি। অথবা প্রতিনিধি হিসেবে তৃণমূলের কোনও শীর্ষ নেতৃত্বকে পাঠাবেন। আর যদি মমতা নিজেই যান, তাহলে সেখান থেকে ফিরে সোজা কোচবিহার থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দেবেন তৃণমূল সভানেত্রী।

১০ মার্চ ব্রিগেডে মেগা জনসভায় বেনজির কায়দায় লোকসভা নির্বাচনের দলীয় প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করে তৃণমূল (TMC)। প্রার্থীদের নিয়ে মঞ্চের র‌্যাম্পে হাঁটেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু তার কয়েকদিন পরেই হঠাৎই বাড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পান মমতা। সরাসরি লোকসভা নির্বাচনে প্রচার তিনি এখনও শুরু করেননি। কোচবিহার থেকেই তার রাজ্যে প্রচার শুরু হবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। তার আগেই জোটের জনসভায় তিনি যোগ দিতে দিল্লি (Delhi) যেতে পারেন।

এর আগে ‘এক ভোট এক দেশ’ নিয়ে মিটিংয়ে যোগ দিতে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি সেই দিল্লি সফর বাতিল করেন। রাজ্য বাজেট ছিল ৮ ফেব্রুয়ারি। সেই কারণ তিনি সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, রাজ্য বাজেট পেশের আগে হাতে আর মাত্র ২ দিন। ৮ তারিখ রাজ্য বাজেট। এখন যাওয়া সম্ভব নয়। বলেন, “এমার্জেন্সি সিচুয়েশনের জন্য দিল্লি যাওয়াটা বাতিল করেছি। এক ভোট, এক দেশ কমিটির চেয়ারম্যান রামনাথ কোবিন্দকে কয়েকবার ফোন করেছিলাম। কথা হয়েছে। বুঝিয়ে বলেছি।”

বাংলায় সিপিএমের হাত ধরায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাই ৪২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। তবে রাজ্যের বাইরে সমীকরণ আলাদা বলে আগেই জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় আপের নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ইডি। I.N.D.I.A. জোটের সব শরিকই এই ঘটনায় আপের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে। তীব্র নিন্দা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে তাঁর দিল্লি গিয়ে জোটের জনসভায় যোগ দেওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

Previous articleহোলির প্রাক্কালে রবিবাসরীয় প্রচারে রাজ্য জুড়ে ঝড় তৃণমূল প্রার্থীদের 
Next articleডার্বি জয় ইস্টবেঙ্গলের, মোহনবাগানকে হারালো ২-০ গোলে