হোলির প্রাক্কালে রবিবাসরীয় প্রচারে রাজ্য জুড়ে ঝড় তৃণমূল প্রার্থীদের 

কোনও ছুটির দিনকেই ছেড়ে দিতে রাজি নন কোনও প্রার্থী

হোলির প্রাক্কালে রবিবাসরীয় নির্বাচনের প্রচার জমে উঠেছে । কেউ এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে নারাজ। কোনও ছুটির দিনকেই ছেড়ে দিতে রাজি নন কোনও প্রার্থী। এই অবস্থায় রবিবাসরীয় সকালে রাজ্যজুড়ে প্রচারের ঝড় তুলেছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা।

শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রবিবাসরীয় প্রচার শুরু হয় উত্তরপাড়ার ফ্ল্যাটে পুজো দিয়ে। ডানকুনির চাকুন্দি থেকে গোবরা পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি ঘুরে জনসংযোগ ও প্রচার চালান তিনি।

মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর বাপি হালদার প্রচার হোলির রং মেখে। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তিনি প্রচার করেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে কাকদ্বীপ বিধানসভার অন্তর্গত বুদাখালির বিভিন্ন এলাকা জনসংযোগ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী।

রবিবাসরীয় প্রচারে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় চুঁচুড়া বিধানসভা এলাকায় প্রচার ও জনসংযোগ করেন। কোদালিয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের  রবীন্দ্রনগরে শীতলা মন্দিরে পুজো দেন তিনি। এরপর রবীন্দ্রনগর বাজার এলাকায় জনসংযোগ করেন। আজ গোটা দিন চুঁচুড়াতেই প্রচার ও দলীয় কর্মসূচীতে আছেন রচনা। বিকেলে চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে সভা করবেন তিনি।

এরই পাশাপাশি, বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় নিয়ে প্রচার করেন আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বড়াইক ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায়।এদিন তৃণমূল প্রার্থী রাজ্যের অনগ্রসর কল্যাণ মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক ও তৃণমূল  ব্লক নেতা জোসেফ মুন্ডা সহ নেতা কর্মীদের নিয়ে মেটেলি ব্লকের ডাংগি চা বাগানে প্রচারে যান। সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং কথা বলেন।

রবিবার বরানগর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় বসন্ত উৎসব। বরানগর সতীন সেন নগরে বসন্ত উৎসবের মাধ্যমে প্রচার সারলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সৌগত রায়। অনুষ্ঠানে এসে বিজেপিকে তোপ দাগেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, বিজেপি পুরো প্রার্থী তালিকা বের করতে ভয় পাচ্ছে। তাড়াতাড়ি তালিকা বেরোলে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হবে। আমাদের দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার যা ঘোষনা করে দেন তা নিয়ে আর কোনও কথা হয় না। সেই কথা মেনেই সবাই কাজ করেন। ফলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হয় না। বিজেপি তো তা নয়। ওদের কোনও নেতৃত্ব নেই। ওদের নীচের স্তরে কর্মী নেই। তাই বিজেপির মধ্যে ঝামেলা আরও হবে বলে এদিন বলেন সৌগত রায়।

জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত সৌগত বলেন, মানুষের রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষেই যাবে। মানুষ বুঝে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বাংলা সুরক্ষিত নয়।

 

Previous articleদিল্লিতে জনসভা I.N.D.I.A-র, কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদ
Next articleদিল্লিতে I.N.D.I.A. জোটের জনসভায় আমন্ত্রণ মমতাকে, ফিরে যেতে পারেন কোচবিহারে