লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পরে বাড়ছে গ্রামের মহিলাদের ‘জেল্লা’! বলছে পরিসংখ্যান

মানুষের হাতে টাকা পৌঁছালে তা সমাজের অর্থনীতিকে বদলাতে থাকে। রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু হওয়ার পর তা যেন অক্ষরে অক্ষরে সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে

মহিলাদের আর্থিক স্বাধীনতা না থাকলে সমাজে তাঁদের মান থাকে না, সংসারেও স্বাচ্ছন্দ্য আসে না। আর মানুষের হাতে টাকা পৌঁছালে তা সমাজের অর্থনীতিকে বদলাতে থাকে। রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু হওয়ার পর তা যেন অক্ষরে অক্ষরে সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকার মহিলারা সংসারের অন্য মানুষের উপর নির্ভরশীল না হয়ে সংসারের প্রয়োজন মিটিয়ে এবার নিজেদের যত্নেও নজর দিতে পারছেন। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের পরিসংখ্যান বলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে হাতে টাকা পাওয়ার পর থেকে গ্রামাঞ্চলের মহিলারা এখন অনেক বেশি পার্লারমুখি। আর তার জন্যই গ্রামাঞ্চলে বাড়ছে পার্লারের সংখ্যা।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামাঞ্চলের সংসারের হাল ধরা মহিলাদের হাত শক্ত করার জন্য চালু করেছিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। ২০২১ সালে এই প্রকল্প চালু হওয়ার পরে বর্তমানে তার উপভোক্তা ২ কোটি ১২ লক্ষ মহিলা। সেই উপভোক্তাদের জেরেই গ্রামাঞ্চলে গত তিন বছরে অনেকটা বেড়েছে বিউটি পার্লারের সংখ্যা। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী শেষ তিন বছরে গ্রামাঞ্চল ও মফঃস্বল শহরে প্রায় ৬ হাজার বিউটি পার্লার বেড়েছে। প্রায় সমান হারে বেড়েছে বাড়িতে এই পরিষেবা নেওয়ার সংখ্যাও।

সরকারি হিসাবে এই শিল্পে যে বৃদ্ধি হয়েছে তার প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি বেসরকারি হিসাবে। অনেকেই বাড়ি থেকে এই ধরনের পরিষেবা দেওয়ায় তাদের রেজিস্ট্রেশন থাকে না। যারা বাড়ি গিয়ে পরিষেবা দেন তাঁদেরও সরকারের খাতায় নাম থাকে না। ফলে বিউটি পার্লারের পরিষেবা দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত মানুষের সংখ্যা এই রাজ্যে গত তিন বছরে অনেকটা বেড়েছে। অনেক মানুষ রোজগারের পথ খুঁজে পেয়েছেন। আর তাঁরা রোজগার করতে পারছেন কারণ তাঁদের কাছ থেকে পরিষেবা নেওয়ার মহিলার সংখ্যা অনেকটা বেড়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা গ্রামাঞ্চল ও মফঃস্বলের মহিলাদের হাতে পৌঁছাতেই গ্রামাঞ্চলের অর্থনীতি কীভাবে বদলাতে শুরু করেছে তার প্রমাণ সরকারি পরিসংখ্যানেই মিলছে।