Monday, December 15, 2025

‘স্ট্রাগলিং পিরিয়ড’ শেষ হয়নি! মফস্বলের মেয়ে হয়েও কঙ্কনা যুব সমাজের ‘ইন্সপিরেশন’

Date:

Share post:

অভিনয়ের (Acting) প্রতি ভালোবাসা বাবার থেকেই। তবে অভিনয় করব বললেই তো হয় না, অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে তবেই স্বপ্নের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়ার রাস্তাটা মোটেও সহজ ছিল না। তবে ধীরে ধীরে স্টেজ থিয়েটারের হাত ধরে অভিনয় জগতে পদার্পণ। এখন রুপোলি পর্দার বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিনি। মফস্বলের সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে রুপোলি জগতের তারকা হয়ে তিনি এখন যুব সমাজের কাছে ‘ইন্সপিরেশন’ হুগলির কোন্নগরের কঙ্কনা হালদার (Kankana Halder)। কোন্নগর নয়াপাড়ার বাসিন্দা কঙ্কনা। মা ও দাদাকে নিয়ে তাঁর ছোট্ট পরিবার। বাবাকে অনেক ছোট বয়সেই হারিয়েছেন অভিনেত্রী। কানাইপুরের কন্যা বিদ্যাপীঠ স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে রবীন্দ্রভারতী থেকে নাটকে অনার্স, সেখান থেকে ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার কোর্স শেষ করে বর্তমানে তিনি একটি বাংলা ধারাবাহিক “আদালত ও একটি মেয়ে” মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্কনা।

তবে ছোটবেলা থেকেই তাঁর অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক বাড়ে বাবা কাঞ্চন হালদারের কারণেই। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেটাই কঙ্কনার কাছে অক্সিজেনের মতো হয়ে ওঠে। বাবা প্রথম থেকেই নাট্য জগতের সঙ্গে যুক্ত, তবে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে অভিনেত্রী হওয়ার চ্যালেঞ্জ আরও প্রকট হয়ে ওঠে কঙ্কনার কাছে। তবে শুধুমাত্র ধারাবাহিকে অভিনয় এমনটা নয় এর আগে একাধিক সিনেমা ওটিটিতে ও অভিনয় করে যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছেন কঙ্কনা। পাশাপাশি দেবের সঙ্গে বাঘাযতীন সিনেমায় অভিনয় করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন কঙ্কনা। এছাড়াও বর্তমানে তাঁর ছায়াছবি ‘বনবিবি’ চলছে প্রেক্ষাগৃহে। আগামী ২৯ তারিখ আসতে চলেছে কঙ্কনার নতুন সিনেমা ‘হাতেখড়ি’। কিভাবে রুপোলি পর্দার সঙ্গে অভিনেত্রীর পরিচয় সেকথা বলতে গিয়ে কঙ্কনা বলেন, তাঁর জীবনের ‘স্ট্রাগলিং পিরিয়ড’এখনো শেষ হয়নি। অভিনেত্রী আরও জানান, কিছু বছর আগে পর্যন্ত কলকাতাতে থিয়েটার নাটক ও সিনেমার পর্দায় অভিনয় করার পর যখনও সেভাবে কাজ হচ্ছিল না সেই সময় তিনি লক্ষ্যপূরণের জন্য পাড়ি দেন মুম্বাই। এরপর মুম্বাইতে থেকে ধীরে ধীরে কাজ শুরুর পর, একদিন আচমকাই তাঁর কাছে সুযোগ আসে বাংলা ধারাবাহিক ‘আদালত ও একটি মেয়ে’-র মুখ্য চরিত্র দুর্গা সোরেনের ভূমিকা অভিনয় করার জন্য। আর সেই সুযোগ পেয়েই মুম্বাই থেকে কলকাতায় ফেরেন কঙ্কনা।

কঙ্কনার মা অপর্ণা হালদার জানান, তাঁর স্বামীর খুব ইচ্ছা ছিল মেয়েকে অভিনেত্রী বানাবেন, কিন্তু মেয়ের সাফল্য বা মেয়ের প্রচেষ্টা কোনওটাই দেখে যেতে পারেননি। এরপরই তিনি ম্নে করিয়ে দেন মেয়ের পক্ষে গ্রাম পেরিয়ে শহরে গিয়ে কাজ করাটা খুবই কষ্টসাধ্য ছিল। প্রতিবেশী থেকে শুরু আত্মীয়স্বজন খারাপ কথা বলতে ছাড়েননি কেউই। তবে প্রথম থেকেই মেয়ের উপর তার বিশ্বাস ছিল। আর সেই স্বপ্ন সফল করেছে মেয়ে কঙ্কনা।

spot_img

Related articles

আবাসনের মধ্যে ভোটকেন্দ্র! আপত্তি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের 

আবাসনের মধ্যে ভোটকেন্দ্র করার বিরোধিতা করে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে চিঠি পাঠালেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তবে এই...

বেঙ্গল সুপার লিগের সূচনা, চ্যাম্পিয়নরা খেলবে সরাসরি আইএফএ শিল্ডে

শ্রাচী স্পোর্টসের উদ্যোগে শুরু হল বেঙ্গল সুপার লিগ(Bengal Super League)। রবিবার বিকেলে মালদহে এই মেগা টুর্নামেন্টের জমকালো উদ্বোধন...

তৃতীয় টি২০ ম্যাচে সহজ জয়ের মধ্যেই কাঁটা সূর্যের ব্যাটিং ব্যর্থতা

তৃতীয় টি২০ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জিতল ভারত(India)। রবিবার টস টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত(India)।...

নির্বাচনের আগে ইভিএম চেকিংয়ে কঠোর নজরদারি! অবজারভার পাঠালো কমিশন 

২০২৬ সালের রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন এবার আরও কড়া নজরদারি করছে ইভিএমের ফার্স্ট লেভেল চেকিং...