স্ত্রীর শাড়ি, রান্নার মশলা ঘরে সাজিয়ে বিএনপি-র ভারত বয়কট! কটাক্ষ হাসিনার

বাংলাদেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফের উস্কানি দেওয়া শুরু বিএনপি-র রিজভিপন্থীদের। তবে তাদের ভারতবিরোধিতা যে আদতে পাকিস্তানকে সমর্থন দেখানোর জন্য ফাঁকা আওয়াজ তা আবার প্রমাণ করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নির্বাচনের আগে থেকেই খালেদা জিয়ার বিএনপি (BNP)-র একাংশ প্রবলভাবে ভারত বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন। ক্ষমতায় এলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের বার্তা দিয়েই পঞ্চমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী মসনদে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। বাংলাদেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফের উস্কানি দেওয়া শুরু বিএনপি-র রিজভিপন্থীদের। তবে তাদের ভারতবিরোধিতা যে আদতে পাকিস্তানকে সমর্থন দেখানোর জন্য ফাঁকা আওয়াজ তা আবার প্রমাণ করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজেদের আলমারি থেকে রান্নাঘরে ভারতের সামগ্রী সাজিয়ে বিএনপি-র ভারত বিরোধিতাকে তীব্র কটাক্ষ হাসিনার।

বিএনপি-র মুখপাত্র রুহুল রিজভি (Ruhul Kabir Rizvi) সম্প্রতি একটি সমাবেশে ভারতীয় জিনিস বর্জনের ডাক দেন। তিনি নিজের কাশ্মীরি শাল (Kashmiri shawl) ছুঁড়ে ফেলে প্রতীকী বর্জনের ঘোষণা করেন। তাঁর অনুগামীরা সেই শালে আগুন লাগিয়ে দেন। এরপরই প্রতিবাদে সরব হয় আওয়ামি লীগ। ভারত থেকে যেভাবে কম দামে জিনিস কিনে বাংলাদেশের মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রা স্বচ্ছন্দে চলে, তার বিকল্প কোনওভাবেই মধ্যপ্রাচ্য থেকে আনা সামগ্রি দিয়ে পূরণ করা সম্ভব না বলে দাবি জানান তাঁরা। একধাপ এগিয়ে শেখ হাসিনা জানান, “বিএনপি নেতারা যদি বাসায় গিয়ে বৌদের ভারতীয় শাড়িগুলো পোড়ান, বিশ্বাস করব আপনারা সত্যি ভারতীয় পণ্য বর্জন করলেন। ভারতীয় মশলা ছাড়া রান্না তারা খেতে পারবে কি না, এ উত্তরও তাদের দিতে হবে।”

ভারতের বিরোধিতায় ভারতের জিনিস বয়কট করার এই হিড়িক যে বিএনপি-র লোক দেখানো তা প্রমাণ করতে মাঠে নামেন আওয়ামি লিগের (Awami League) নেতারাও। এমনকি তাঁদের দাবি সাধারণ মানুষকে এই ধরনের বয়কটের (boycott) পথ দেখিয়ে তাঁদের বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। নিজেরা ভারতের খাদ্য থেকে চিকিৎসা সব পরিষেবা নেওয়ার পর সাধারণ মানুষকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

তবে বিএনপি-র ভারত বিরোধিতায় অন্যরকম সুবিধা দেখছে ভারতীয় কূটনীতিকরা। বিএনপি মুখপাত্র রুহুল কবীর রিজভি কাশ্মীরি শাল বর্জন করে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি মেনে নিয়েছেন কাশ্মীর ভারতের অংশ। পাকিস্তানের সমর্থনে বাংলাদেশে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করা বিএনপি-র একাংশের মাধ্যমে এবার পাকিস্তানকেও সেই বার্তা দিতে চায় ভারত।