বাংলা বিশ্বাসঘাতকদের সংসদে পাঠাবে না: ক্রোনোলজি দিয়ে অভিজিৎ-দেবাশিসের ‘ষড়যন্ত্র’ ফাঁস তৃণমূলের

একজন বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই বিজেপিতে যোগ দেন। আরেক জন আইপিএস অফিসারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে (BJP)। দুজনেই এবারের লোকসভা নির্বাচনে পদ্মশিবিরের প্রার্থী। এবার পদে থাকা অবস্থায় তাঁদের কাজের ক্রম প্রকাশ করে প্রকৃত উদ্দেশ ফাঁস করল তৃণমূল (TMC)। দলের তরফ থেকে লেখা হয়, “এটা ফের প্রমাণিত হল যে, ২০২১ সাল থেকে আইনের দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিরা রাজ্যে বিজেপির পুতুল হিসেবে কাজ করছে। বাংলার জনগণ এই বিশ্বাসঘাতকতা বরদাস্ত করবে না। ষড়যন্ত্রকারী ও চাকরি ছিনতাইকারীরা সংসদে পৌঁছবে না।“

বিচারপতি থাকাকালীন সব বিষয় নিয়েই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguli)। কলমের খোঁচায় ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেন। পদে থেকেও রাজনৈতিক নেতার মতোই মন্তব্য করতেন তিনি। এই বিষয় নিয়ে অনেকবারই তাঁকে নিশানা করেছে রাজ্যের শাসকদল। অভিযোগ করে, বিজেপির হয়ে কাজ করছেন তিনি। আর তাদের সেই অভিযোগেই সিলমোহর পড়ে ৫ মার্চ। ওই দিনই সময়ের আগেই চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে তিনি জানিয়ে দেন বিজেপিতে যোগ দেবেন। এও জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। অর্থাৎ বিচারপতি থাকা অবস্থাতেই তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। আর সেই যোগাযোগ এতটাই গভীর যে, তার জন্য পদ ছাড়লেন। এবং পুরস্কার স্বরূপ তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি।

আর একজন দেবাশিস ধর (Debashis Dhar)। আইপিএস অফিসার ছিলেন। তিনি পুলিশ সুপার থাকা অবস্থাতেই বিধানসভা নির্বাচনে শীতলকুচিতে বুথেগুলি চলে। ঘটনায় জেরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। তার পরেই আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মমলায় CID-র নজর ছিল দেবাশিসের উপর। শেষে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই বিজেপি যোগ দান। এক্ষেত্রেও পুরস্কার লোকসভার টিকিট।

এই ক্রোনোলজি পোস্ট করে তৃণমূল (TMC)।  আর এই পোস্ট প্রশ্ন তুলে দেয়, পদে থাকাকালীন এই আধিকারিক বা বিচারপতি কতটা নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছে। পোস্টে তৃণমূলের তরফে লেখে হয়, “প্রার্থী খোঁজার জন্য মরিয়া হয়ে বিজেপি বাংলায় তাদের ষড়যন্ত্রের কারিগরদের প্রকাশ করেছে। এটা ফের প্রমাণিত হল যে, ২০২১ সাল থেকে আইনের দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিরা রাজ্যে বিজেপির পুতুল হিসেবে কাজ করছে। বাংলার জনগণ দায়িত্বের সঙ্গে এই বিশ্বাসঘাতকতা বরদাস্ত করবে না। ষড়যন্ত্রকারী ও চাকরি ছিনতাইকারীরা সংসদে পৌঁছবে না।“ পদে থেকে তার অপব্যহার করা বিজেপির প্রার্থীদের বাংলার মানুষ যেন ভরসা না করে সেই বার্তাই দেওয়া হয়।



Previous articleহার্দিকের জন্য কি ওয়াংখেড়েতে বিশেষ নিরাপত্তা? মুখ খুললো মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা
Next articleসোমে উত্তরের জেলায় অভিষেক, সফরসূচিতে বীরভূম-ঘাটাল-মালদহ