আজ কী ঘটেছিল?

১৯৫৯ সালে দলাই লামা এদিন পা রাখলেন ভারতের মাটিতে। তিব্বতে তাঁর প্রাসাদ ছেড়ে পথে নেমে পড়া ছাড়া আর কোনও পথই সে দিন খোলা ছিল না ধর্মগুরু দলাই লামার সামনে। ৮ বছর আগেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী স্বাধীন তিব্বতে লাল ফৌজ ঢুকিয়ে দেয় চিন। শুরু হয় অত্যাচার। নির্যাতন। তিব্বতের দখল নেওয়ার জন্য। লাল ফৌজকে রুখতে সে দিন গণ-আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দলাই লামা। তাই তিনি টার্গেট হয়ে উঠেছিলেন চিনের। ৬০ বছর আগে মার্চের সেই রাতেই পথে নেমে না পড়লে লাল ফৌজের হাতেই প্রাণ হারাতে হত তাঁকে। হয়তো তাঁর পরিবারের সদস্যরাও রেহাই পেতেন না। মা, ভাই, বোন আর জনাকয়েক অনুগামী নিয়ে তাঁর দু’দিন, দু’রাত কেটেছিল অচেনা, অজানা পথে। কখনও পায়ে হেঁটে। কখনও বা ঘোড়ার পিঠে। আর ছিল ক’টা খচ্চর। যাদের পিঠে চাপানো ছিল এক মাসের মতো জল, খাবারদাবার, আনুষঙ্গিক আরও কিছু। ভারত তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিল এপ্রিলের ৩ তারিখে। তাঁর নির্বাসিত সরকারকে জায়গা দিল হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায়। তার পর সেখান থেকেই তিব্বত মুক্ত করার দাবিতে চিনবিরোধী আন্দোলন সংগঠিত করেছেন দলাই। যার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৯ সালে দলাই পান নোবেল শান্তি পুরস্কার।

১৮৮৯ আইফেল টাওয়ার-এর উদ্বোধন হল এদিন। রট আয়রনে তৈরি ৯৮৪ ফুট এই স্মারক তৈরি হয় ফরাসি বিপ্লবের শতবর্ষ উপলক্ষে। নির্মাতা গুস্তেভ আইফেল। গুস্তাভো আইফেল রেলের জন্য সেতুর নকশা প্রণয়ন করতেন। টাওয়ারটি নির্মাণে তিনি সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছিলেন। ১৮,০৩৮ খণ্ড লোহার খণ্ড তৈরি করে বিভিন্ন আকৃতির ছোট-বড় কাঠামো জোড়া দিয়ে এই টাওয়ার তৈরি করা হয়েছিল। ৩০০ জন শ্রমিক এই নির্মাণযজ্ঞে অংশ নিয়েছিলেন।


এক ঘণ্টা এগিয়ে দেওয়া হল আমেরিকার ঘড়ি।
উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্ম কালে দিনের বেলা সূর্যের আলো বেশিক্ষণ পাওয়া যায়। কাজের জগতে তারই সুবিধা নেওয়ার জন্য এই বন্দোবস্ত। ১৭৮৯-তে একটি প্রবন্ধে বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন প্রথম এই ব্যবস্থার প্রস্তাব দেন। মূলত বৈদ্যুতিন আলোর জন্য ব্যয়িত জ্বালানির খরচ বাঁচাতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এই পথে হেঁটেছিল আমেরিকা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফের এই ব্যবস্থা চালু হয় ১৯৪২-এর ফেব্রুয়ারিতে। চালু ছিল ১৯৪৫-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।


স্যার আইজ্যাক নিউটন (১৬৪৩-১৭২৭) এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, প্রাকৃতিক দার্শনিক এবং আলকেমিস্ট। ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁর বিশ্বনন্দিত গ্রন্থ ফিলসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা প্রকাশিত হয় যাতে নিউটন সর্বজনীন মহাকর্ষ এবং গতির তিনটি সূত্র বিধৃত করেছিলেন। এই সূত্র ও মৌল নীতিগুলোই চিরায়ত বলবিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে, আর তার গবেষণার ফলে উদ্ভূত এই চিরায়ত বলবিজ্ঞান পরবর্তী কয়েক শতক জুড়ে বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার জগতে একক আধিপত্য বিস্তার করেছে।

১৯৮০ জেসি ওয়েন্স (১৯১৩-১৯৮০) এদিন চলে গেলেন। অ্যারিজোনার ফিনিক্সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ১৯৩৬-এর বার্লিন অলিম্পিকে চারটি সোনা জিতেছিলেন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের এই কিংবদন্তি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসন টেলিভিশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন। বিষয় ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ। ভাষণের শেষে সবাইকে চমকে দিয়ে ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আর প্রার্থী হবেন না তিনি। ১৯৬০-এ ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে জিতেছিলেন। ১৯৬৩-তে প্রেসিডেন্ট কেনেডি নিহত হওয়ার পর তিনি প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন। এর পর এদিন অকস্মাৎ পদত্যাগের ঘোষণা।

 

Previous articleচমক কলকাতা উত্তরে: একসময় সতীর্থরাই এবার যুযুধান প্রতিপক্ষ!
Next articleআজ দিল্লির রামলীলা ময়দানে ইন্ডিয়া জোটের মেগা র‍্যালি