জেলে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সরব কেজরি, আদালতে বিশেষ আবেদন

কেজরিওয়ালের আইনজীবীর দাবি জেল হেফাজত হওয়ায় এবার জামিনের আবেদন করা সহজ হবে তাঁদের পক্ষে

লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের চাপে রাখার নীতি নিয়ে রবিবারই আওয়াজ উঠেছে দিল্লির রামলিলা ময়দানে। এবার প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ করে জেলে গেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামালায় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে দেশে লোকসভা নির্বাচন। ঠিক তার ৪ দিন আগে পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকবেন কেজরি। আদালতে জেল হেফাজতের আর্জি জানিয়েছিলেন ইডির কর্তারা। আদালত তা মঞ্জুর করে।

নির্বাচনের ঠিক আগে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের জেলে ঢোকানো নিয়ে গোটা দেশের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি রবিবার সরব হয়। দুই গ্রেফতার মুখ্যমন্ত্রীর দুই স্ত্রী কল্পনা সোরেন ও সুনিতা কেজরিওয়ালকে সামনে রেখে যে আন্দোলনের ছবি লোকসভা নির্বাচনের আগে দেখিয়েছে রামলিলা ময়দান, তার পরেই যেন মনোবল বেড়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। সোমবার আদালতে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি স্পষ্ট বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যা করছেন তা দেশের জন্য ভালো নয়।”

সোমবার ইডি-র পক্ষ থেকে কেজরিকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়নি। তবে জেলে যাওয়ার আগে আদালতে তিনি একটি আবেদন রাখেন। জেলে তিনটি বই নিয়ে যেতে চান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সেই বইগুলি হল, ভগবদ্‌গীতা, রামায়ণ এবং সাংবাদিক নীরজা চৌধুরীর লেখা কীভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন সংক্রান্ত একটি বই। পাশাপাশি বিশেষ খাবারের জন্যও আবেদন জানান তিনি।

তবে কেজরিওয়ালের আইনজীবীর দাবি জেল হেফাজত হওয়ায় এবার জামিনের আবেদন করা সহজ হবে তাঁদের পক্ষে। পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকলে যে আবেদন করা যায় না, তা বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকলে করা সহজ হবে বলে জানান তাঁরা।

Previous articleঋষভের খেলায় মুগ্ধ মহারাজ , দিলেন বিরাট বার্তা
Next articleবিপর্যয়ের ১২ ঘণ্টা পরে মমতাকে ফোন শাহর! সাহায্যের আশ্বাস