নেতা-মন্ত্রীদের খাবার চেখে দেখতে কমিশনের নির্দেশে ১৫ জনের টিম স্বাস্থ্য বিভাগের

এপ্রিল-মে মাসের প্রচণ্ড গরম ও দাবদাহের মধ্যে এবারও অনুষ্ঠিত হতে চলে লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। আর ভোট বড় বালাই, চাঁদিফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করেই তাই সব দলের প্রার্থীরা জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে। প্রার্থীদের সমর্থনে আবার প্রচারে যাচ্ছেন দলের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা। খুব স্বাভাবিভাবেই ভোটের সময় তাঁদের নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না। তার উপর যদি অ্যালার্জি শুরু হয় তাহলেই সর্বনাশ। ফলে এই হেভিওয়েট তারকা প্রচারকরা কী খাবেন, কী খাবেন না তা নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করে দিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 pgs) স্বাস্থ্য জেলা।

লোকসভা নির্বাচনের সময় লাগাতার প্রচারে ব্যস্ত থাকবেন নেতা-মন্ত্রীরা। তাঁদের নিরাপত্তা তো বটেই হেভিওয়েটদের শারীরিক সুরক্ষার দিকটিও খেয়াল রাখতে পরিকল্পনা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোট প্রচারে আসা ভিভিআইপি-ভিআইপিদের জন্য নিযুক্ত থাকছে ১৫ খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকের একটি বিশেষ দল। পরিবেশনের আগে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ নেতা-নেত্রীদের খাবার যাচাই করবেন। এবং চেখেও দেখবেন।

এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “একজন হেভিওয়েট নেতার একাধিক জায়গায় সভা থাকতে পারে। একজন অফিসারের পক্ষে সব জায়গায় পৌঁছনো সম্ভব নয়। তাই যেসব জায়গায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা প্রচারে যাবেন, তার অন্তত তিন ঘণ্টা আগে এক অফিসার সেখানে পৌঁছে যাবেন।” জানা গিয়েছে, ওজনদার নেতাদের সাধারণত শুকনো খাবার দেওয়া হয়। কোথাও রান্না খাবার খেতেও অনুরোধ করা হয়। সে খাবারগুলির গুণগত মান ঠিক আছে কি না, তা পরখ করে দেখবেন এই স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। যে খাবার আনা হবে, তার ব্যাচ নম্বর, কবে কেনা হয়েছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কতদিন বাকি প্রভৃতি বিষয়গুলি দেখবেন। প্রয়োজনে চেখেও দেখবেন। দরকার হলে রাঁধুনির সঙ্গে কথা বলবেন।

উল্লেখ্য, একেবারে শেষ দফায় ১ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোটগ্রহণ। অর্থাৎ, প্রায় দু’মাস বাকি ভোট গ্রহণের। কিন্তু।প্রচারে বিরাম রাখতে চায় না কোনও দল। এবার ধীরে ধীরে হেভিওয়েট নেতারা দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে ঝাঁপাবেন। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশি বন্দোবস্ত থেকে খাদ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা শুরু হয়ে গিয়েছে। গোটা জেলাকে দু’টি স্বাস্থ্য জেলায় ভাগ করে খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।